টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: এবার নির্বাচন কমিশনের নজরদারির মধ্যে পড়ল হাতিও। না বিএসপির প্রতীক হাতি নয়, জীবন্ত হাতির পাল। বিষ্ণপুর লোকসভা কেন্দ্রের হাতি উপদ্রুত বুথের সংখ্যা ১২৮। পাঞ্চেৎ বনবিভাগের অন্তর্গত হাতি উপদ্রুত বুথের সংখ্যা ৩৭। কিন্তু বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হাতি উপদ্রুত বুথের সংখ্যা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। যদিও সেই সংখ্যা এখনও জানাতে পারেনি বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন।
[দোলের দিন ভিডিও বার্তা বিমল গুরুংয়ের, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক]
আগামী ১২ মে পশ্চিমাঞ্চলের বাঁকুড়া জেলায় ভোট। এই জেলার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্য ৩,২৫৯। এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, সোনামুখী এবং বড়জোড়া বিধানসভা এলাকায় গত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ১২৫টি বুথকে হাতি উপদ্রুত হিসাবে চিহ্নিত করেছিল জেলা প্রশাসন। লোকসভা নির্বাচনেও হাতিদের ওপর বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোট চলাকালীন ওই বুথগুলির কাছাকাছি হাতির আনাগোনা রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে বনদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বাঁকুড়া জেলার সবকটি বনবিভাগের কর্তাদের ডেকে কমিশনের নির্দেশ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন জেলাশাসক উমাশংকর এস। বৈঠকটি হয় বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দপ্তরে। বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের বনকর্তা ভাস্কর জে ভি জানিয়েছেন, বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগ এলাকায় হাতি উপদ্রুত বুথের সংখ্যা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক সব্যসাচী সরকার বলেন, ‘শীঘ্রই আমরা বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের হাতি উপদ্রুত বুথের সংখ্যা জেনে যাব।
এদিকে বাঁকুড়ার বনদপ্তর হাতির অবস্থান সংক্রান্ত ওয়েব পোর্টালটিতে জানিয়েছে, গঙ্গাজলঘাটিতে পাঁচ, মেজিয়ায় একটি, বড়জোড়ায় দু’টি এবং বৃন্ধাপুরে ৩২টি এবং জয়পুর রেঞ্জ এলাকায় দু’টি হাতি রয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ঢুকে যাওয়া হাতির দলটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে গিয়েছে। বনদপ্তরের কর্তারা বলেন, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই হাতির গতিবিধি উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। কর্মীদেরকেও সতর্ক করা হয়েছে।
[ নগর পরিক্রমা, নাচগানে দোল উৎসবে মাতল আনন্দধাম নবদ্বীপ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.