সৈকত মাইতি, তমলুক: আরবিতে ডবল এমএ। পাশ করেছেন বিএডও। তা সত্ত্বেও মেলেনি চাকরি। একটা সময় যাকে ‘মসিহা’ বলে মনে করছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা, সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটের ময়দানে চাকরীপ্রার্থী মাহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মাহি। আসুন চিনে নেওয়া যাক তমলুকের আইএসএফ প্রার্থীকে।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের দৌলতাবাদ এলাকার বাসিন্দা ‘বেকার’ মাহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মাহি। আরবিতে ডাবল
এমএ, বিএড পাশ করেছেন মাহি। আপার প্রাইমারিতে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় নামও রয়েছে তাঁর। কিন্তু তার পরও নানান রকমের আইনি জটিলতায় নিয়োগ করা হয়নি তাঁকে। মাহির দাবি, কমিশনের ফাস্ট কাউন্সিলিংয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের রসকুঞ্জ পি কে হাই স্কুলে তাঁর চাকরি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজও সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। শুধু মাহি নন, তাঁর মতো রাজ্যের কয়েক হাজার বেকার যুবক-যুবতী আজ বঞ্চিত। তাই নিজেদের ন্যায্য পাওনা দাবিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে শুরু করে বিকাশ ভবন, কালীঘাট, রাজভবন প্রায় সর্বত্রই হন্যে হয়ে ছুটেছেন। শেষে ঠাঁই হয়েছে ধর্মতলার রাস্তায়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। হাই কোর্টের ১১ নম্বর ঘরে তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা বিচারাধীন বলে জানিয়েছেন আইএসএফের প্রার্থী মাহি।
এবার বাধ্য হয়েই বঞ্চিত বেকারদের কথা ভেবে ভোটের ময়দানে মাহি। তাঁর অভিযোগ, ২০১২ সালের পর থেকে প্রতিটি নিয়োগ আইনি বেড়াজালে আটকে। রাস্তায় বঞ্চিত বেকার চাকরি প্রার্থীরা। সেই দোহাই দিয়ে রাজ্যে আরও প্রায় কুড়ি লক্ষ বেকার বসে রয়েছেন। অথচ দেখা গিয়েছে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি চোরদের পাশাপাশি বিচারপতি কিংবা আইনজীবীরা তারা তাদের স্বার্থসিদ্ধি করে চলেছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় দিতে গিয়ে মাঝ পথেই হাল ছেড়ে চলে এসেছেন আর এক বিচারপতি। আর সেই মামলাকারীদের পক্ষ থেকে এখন আবার প্রার্থী হয়েছেন আর এক আইনজীবী নিজেই। দিনের শেষে বঞ্চিত হচ্ছেন সেই চাকরিপ্রার্থীরাই। তাই লক্ষ লক্ষ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে কন্ঠ তুলতেই লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত মাহির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.