শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ছাগল চরাতে গিয়ে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল তিন মহিলার। গুরুতর জখম আরও এক। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। এদিকে এই দুর্ঘটনার পরই মৃতদেহ ফেলে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দার। ঘাতক লরিটিকে আটক করা গেলেও চালক পলাতক। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ফরাক্কার বেরামঘাট এলাকায়।
রোজকার মতো এদিনও সুধনা গ্রাম থেকে ছ’জন মহিলা ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন। মাঠে ছাগল ছেড়ে দিয়ে ওই ছজনই বেরামঘাটের বড় রাস্তার পাশে বসেছিলেন। সেই সময় কেঁদুয়া থেকে বাহাদরপুরের দিকে ফাঁকা লরি আসছি। যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে লরির পিছনের দুটি চাকা খুলে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বসে থাকা চারজনকে ধাক্কা দেয় লরিটি।
দু’জন সুযোগ বুঝে সরে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনাস্থলেই অন্য দুজনের মৃত্যু হয়। আরেকজনকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘাতক গাড়িটিকে আটক করলেও চম্পট দেয় তার চালক।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুমতি মণ্ডল(৪৫), জ্যোৎস্না মণ্ডলের(৪৫)। তাঁদের বাড়ি ফরাক্কার সুধনা গ্রামে। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা আশালতা মণ্ডল (৫৫) গুরুতর জখম হন। জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরও মৃ্ত্যু হয়। অষ্টমী মণ্ডল (৪৫) এখনও হসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, বেরামঘাট গ্রামের পাশের এই রাস্তায় বেপরোয়াভাবে লরি চলাচল করে। যার জেরে একাধিকবার দুর্ঘটনা মুখে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন লরির চালকের শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদের দেহ রাস্তায় ফেলে টানা দু’ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান। শেষে পুলিশি হস্তক্ষেপের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.