মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: হাওড়ার সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এলপিজি গ্যাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রায় আড়াই কোটিরও বেশি ব্যয়ে এলপিজি গ্যাসের সংযোগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার জন্য টাকাও জমা দেওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই ব্যবস্থা হয়ে গেলে গ্যাস সিলিন্ডারে রান্না চালু হয়ে যাবে অঙ্গনওয়াড়িগুলিতে।
হাওড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে হাওড়ায় মোট ৪ হাজার ৫০৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে নিজস্ব বাড়ি রয়েছে প্রায় দুই হাজার। এবং বাকি আড়াই হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলছে কোথাও ভাড়া বাড়িতে বা কোথাওবা স্থানীয় ক্লাবে। সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেই গ্যাস সিলিন্ডারে রান্নার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে যেসব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোতে নিজস্ব বাড়ি নেই সেগুলোতে কিভাবে গ্যাস সুরক্ষিত ভাবে রাখা যায় তারও ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তারপরই ওইসব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে গ্যাস দেওয়া হবে। প্রতিটা অঙ্গনওয়াড়ি পিছু প্রায় ৬ হাজার টাকা খরচ করা হচ্ছে। এবং দু’টি সিলিন্ডারের সংযোগ করা হচ্ছে। ডিপোজিট মানি হিসাবে ৪ হাজার টাকার বেশি থাকছে। পাশাপাশি অগ্নি নির্বাপনের জন্য তিনটি করে সিলিন্ডার দেওয়া হবে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের দেওয়া হবে প্রশিক্ষণও। সিলিন্ডারগুলি রিফিল করার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
জানা গিয়েছে, প্রতিমাসে গ্যাস সিলিন্ডার শেষ হলেই কর্মী তাঁর নিজের টাকা দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারে ভরবে। এবং সেই রশিদ প্রশাসনের কাছে জমা দিলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। হাওড়া জেলা পরিষদের নারী ও শিশু বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ রিজিয়া খাতুন জানান, মূলত কাঠের চুলের ধোঁয়া থেকে মহিলাদের রক্ষা, তাঁদের ও পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের প্রতি নজর-সহ বিভিন্ন বিষয় খেয়াল করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এছাড়া পরিবেশ দূষণ রুখতেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু হাওড়া নয় রাজ্যজুড়ে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলিতেই গ্যাসের সংযোগ নেওয়া হচ্ছে। তার ব্যয় বহন করবে রাজ্য সরকার। কয়েকমাস একথা ঘোষণা করেছিলেন শিশু ও নারীকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। সেই মোতাবেক কাজ শুরু হয়েছে হাওড়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.