সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান, আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিং, কুলতলির সাদ্দাম সর্দারের পর এবার প্রকাশ্যে সোনারপুরের জামালউদ্দিন সর্দারের কীর্তি। সালিশিসভায় শ্যালিকাকে মারধরের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই পলাতক এই ‘তৃণমূল’ কর্মী। দলও তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে সামনে আসছে জামালের একের পর এক কুকীর্তি। তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন স্থানীয় মহিলারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অন্যের জমি হাতানোয় ‘মাস্টার’ ছিল জামাল। অন্যের জমি হাতিয়ে বানিয়ে ছিলেন প্রাসাদোপম বাড়ি। কী নেই সেখানে! বিলাসবহুল বাড়ির মধ্যে রয়েছে জলাশয়। পাশে একটা জলাভূমিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে কচ্ছপ। গেট পেরিয়ে ঢুকতেই মার্বেল বসানো ঝাঁ-চকচকে রাস্তা। সেই রাস্তা ধরে এগোলে চোখে পড়বে নীল-সাদা রঙের বাড়ি। ধার ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আরেক অট্টালিকা। আর গেট পেরিয়ে ঢোকা থেকে বাড়ি অবধি গোটা রাস্তা সিসি ক্যামেরা বন্দি। যা দেখে বিরোধীদের প্রশ্ন, শাসক দলের কর্মী হিসেবে পরিচিত জামাল সর্দারের আয়ের উৎস কী? মাসিক কত টাকা আয় করতেন তিনি? পেশাই বা কী? আর বাড়ির অন্দরে এমন কী করা হত যার জন্য গোটা চত্বর সিসিটিভি-তে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল? প্রশ্ন অনেক, উত্তর কে দেবে?
এলাকায় প্রায়শই নীতি পুলিশি চালাত জামাল। বাড়িতেই বসত ‘বিচারসভা’। স্থানীয় মহিলা রুবিজান বিবির দাবি, তাঁর স্বামী শাহরুখ শেখকে চেন বেঁধে রাতভর উলটো করে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন জামাল। বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল। তাঁকে বাঁচানোর জন্য জামালের হাতে-পা ধরলেও কোনও লাভ হয়নি। উলটে তাঁকেও মারধর করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি তাঁরা। সোনারপুরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, পুলিশের সঙ্গেও দহরম মহরম ছিল জামালের।
তবে জামালকে তৃণমূল কর্মী হিসেবে মানতে চাননি স্থানীয় বিধায়ক লাভলি মৈত্র। তাঁর কথায়, “আইন আইনের পথে চলবে। অভিযুক্ত জামালকে গ্রেপ্তার করা হবে। তবে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.