বিক্রম রায়, কোচবিহার: চার মাস পর কোচবিহারে ছাত্র খুনে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার রাতে ভূটান সীমান্ত লাগোয়া আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে ধরা পড়ে অভিজিৎ বর্মন নামে ওই যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, কোচবিহার কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র অভিজিৎ। ঘটনার দিন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাজিদকে লক্ষ করে সে-ই গুলি চালিয়েছিল।
[ভয় দেখিয়ে চাঁদার জুলুম, আইসিকে বদলির সিদ্ধান্ত প্রশাসনের]
জুলাই মাসে ১৩ তারিখ ঘটেছিল ঘটনাটি। দুপুরে হেঁটে কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন কোচবিহার কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাজিদ আনসারি। টিএমসিপির কলেজ ইউনিটের আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। শহরের রেলগুমটি এলাকায় বাইক করে এসে মাজিদ লক্ষ্য করে গুলি চালায় তিন দুষ্কৃতী। গুলির শব্দে স্থানীয়রা যখন ঘটনাস্থলে পৌছান, ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ ওই কলেজ ছাত্রকে ভরতি করা হয় শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। প্রায় ১৫ দিন ধরে চলে যমে-মানুষে টানাটানি। ২৫ জুলাই রাতে নার্সিংহোমে মারা যান মাজিদ আনসারি। তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার শহর। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মাজিদের মৃতদেহ নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ মুন্নার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ হয়। হাতে ব্লেড নিয়ে কোচবিহারের কলেজের সামনে অবস্থানে বসেন মাজিদ আনসারির সহপাঠী ও অন্য পড়ুয়ারা। তাঁর মৃত্যুর উপযুক্ত বিচার না পেলে গণ আত্মহত্যার হুমকি দেন বিক্ষোভকারীরা।
কলেজ ছাত্র মাজিদ আনসারিকে খুনের ঘটনায় শাসকদলের নেতা শেখ মুন্না-সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কিন্তু মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ বর্মন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল সে। শনিবার রাতে ভূটান সীমান্ত লাগোয়া আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছেন তদন্তকারীরা।
[ সৌদি আরবে বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যু, দেহ ফেরানোর আরজি পরিবারের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.