নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূমের (Birbhum) শান্তিনিকেতনের মোলডাঙায় শিশুখুনে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে প্রেম। বাবার উপর বদলা নিতেই নাকি শিশুকে খুন করে প্রতিবেশী মহিলা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে আর কে রয়েছে? খুনের পর কীভাবে দেহ তোলা হয় ছাদে, তা জানার চেষ্টায় পুলিশ।
দু’ দিন নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয় পাঁচ বছরের শিবম ঠাকুরের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। যে বাড়ির ছাদে দেহ মেলে সেই বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। দেহ উদ্ধারের পরই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত রুবিকে। এরপরই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, স্রেফ প্রতিহিংসার বলি শিবম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে মোলডাঙায় শিবমের পাড়ায় আসে রুবি। তার বাবা আবু শেখ ছিল পেশায় রাজমিস্ত্রি। ১৬ আগস্ট এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত বাউড়ির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে অভিযুক্ত রুবি। এরপর সালিশি সভার আয়োজন করা হয়।
সেখানে রুবির পরিবার দাবি করে, হয় রঞ্জিতকে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে হবে, না হলে জরিমানা দিতে হবে। সেই সময় রঞ্জিতের পাশে দাঁড়ায় মৃত খুদের বাবা শম্ভু ঠাকুর। সেটাই তাঁর অপরাধ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার রোষেই শিশুকে খুনের ছক কষে রুবি। এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, “আমরা ঘটনার দিন শিবমের বাবাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জানতে চাওয়া হয় তাঁর সঙ্গে কারও কোনও ঝামেলা আছে কিনা। এমনকি মোবাইল কল লিস্টও আমরা পরীক্ষা করে দেখি। কিন্তু প্রতিবেশী যে সামান্য একটি কারণে তাকে এতবড় শাস্তি দেবে তা বুঝতে পারেনি কেউ।” দেহ উদ্ধারের পরও ধন্দ একটা বিষয় নিয়ে, রুবি একা খুন করলেও, শিবমকে ছাদের উপর নিয়ে যাওয়া হল কীভাবে? ঘটনার সঙ্গে আরও কারও যোগ থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.