ধৃত মূল অভিযুক্ত।
অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: একাধিক জায়গা বদল করেও শেষরক্ষা হল না। রবিবার রাতে ফের পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার পলাতক আসামি রানা শেখ। মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানা এলাকা থেকে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। ডোমকলে পুলিশের উপর হামলা ও চুরির অভিযোগে মূল অভিযুক্ত এই রানা। আসামিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই অ্যাকশন মোডে পুলিশ চলে গিয়েছিল। গতকাল তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী হাফিজুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেও একইভাবে তল্লাশি চলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে রানার খোঁজ আসে। সেই সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারীরা সাগরপাড়ার নওদাপাড়া এলাকায় হানা দেন। ডোমকল ও সাগরপাড়া থানার টিম যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। পুলিশের থেকে বাঁচতে রানা শেখ একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারে লুকিয়েছিলেন। কিন্তু এবার আর পালানো সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, গত তিনদিন ধরে রানা পুলিশের চোখে ধুলো দিতে একাধিক জায়গা বদল করছিলেন।
ঘটনার পর থেকেই আশপাশের এলাকায় কড়া নজরদারি রেখেছিল পুলিশ। আজ সোমবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে। ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতের আর্জি জানানো হবে বলে খবর। মারধর করে পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামিকে ছিনতাই করার পরিকল্পনা কার? পালিয়ে কোথায় এই কদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন রানা? তাঁকে কারা সাহায্য করছিলেন? সেসব প্রশ্নের উত্তর চাইছে পুলিশ।
১৫ জানুয়রি বুধবার রাতে ডোমকল থানার এসআই রানাপ্রতাপ সেনগুপ্ত, ছয়জন পুলিশ কর্মী সহ, পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামি সোহেল রানা ওরোফে রানা শেখকে নিয়ে তাঁদের আলিনগর গ্রামের ঘাটপাড়ায় গিয়েছিলেন। পুলিশের উদ্দেশ্য ছিল, তার হেফাজত থাকা চুরির জিনিসপত্র উদ্ধার করা। কিন্তু পুলিশের গাড়ি সেখানে পৌঁছতেই রানার পরিবারের লোকজন ও পরিজনেরা হাঁসুয়া, লাঠি নিয়ে আক্রমণ করেন। রানাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ছিনতাইকারীদের বাঁধা দিতে গেলে এসআই রানাপ্রতাপ সেনগুপ্ত জখম হন। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ রবিবার বিকেল পর্যন্ত পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার দিন রাতেই পুলিশকে মারধরের ঘটনায় রায়পুর পঞ্চায়েতের সদস্য তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান মিনা বিবি-সহ চারজন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.