ছবি: প্রতীকী।
বাবুল হক, মালদহ: মালদহের (Malda) দৌলতনগর পঞ্চায়েতের সদস্য অপহরণ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। পুলিশের তৎপরতায় বিহারের (Bihar) কাটিহার নিয়ে যাওয়ার পথেই উদ্ধার ৯ জন। গ্রেপ্তার ৩। কী কারণে কাটিহার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁদের, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। হরিশচন্দ্রপুর ব্লক অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দৌলতনগর পঞ্চায়েত নিয়ে অশান্তি নতুন নয়। মাস খানেক আগে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েতের ১২ জন সদস্য অনাস্থা আনেন প্রধানের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ওই ১২ জন সদস্যকে স্বাক্ষর ভেরিফিকেশনের জন্য হরিশচন্দ্রপুর ব্লক অফিসে ডাকা হয়। অভিযোগ, সেই সময় ১১ জন সদস্যকে বন্দুক দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় প্রধান নজিবুর রহমান ও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আশরাফুল হক ও তাঁর দলবল। এরপরই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ। এমনকী পুলিশের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে প্রধানের বিরোধী ও তার পক্ষের লোকেরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের নেতৃত্বে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।
এরপরই অপহৃতদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ২ টো নাগাদ ৯ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাঁদের বিহারের কাটিহারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে রহস্যের শিকড়ে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২০টি আসন রয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে দলেরই অপর সদস্য পিন্টুকুমার যাদব-সহ ১১ জন অনাস্থা আনে। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চরম গোলমালের জেরেই মঙ্গলবার বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.