বাবুল হক, মালদহ: অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে মালদহের পঞ্চায়েতের প্রধান হয়েছেন বাংলাদেশি মহিলা। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। এসবের মাঝেই বিতর্কের জেরে অপসারিত মালদহের (Malda) রশিদাবাদ পঞ্চায়েতের প্রধান। আপাতত তাঁর দায়িত্ব সামলাবেন উপপ্রধান।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করেছিলেন লাভলি খাতুন ওরফে নাসিয়া শেখ। জিতেও যান তিনি। লাভলি পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার পর তাঁর প্রতিপক্ষ রেহানা সুলতানা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। দাবি করা হয়, লাভলি খাতুন বাংলাদেশি। অভিযোগ করা হয়, পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই ভারতে আসেন তিনি। থাকতে শুরু করেন মালদহে। পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে ২০১৫ সালে ভোটার আইডি তৈরি করেন। পরবর্তীতে ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেটও তৈরি করা হয়। সেগুলোকে কাজে লাগিয়েই মালদহে ঘাঁটি গেড়ে বসেন লাভলি। এরপর তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়, ভোটে লড়াই করে পঞ্চায়েতের প্রধান হন।
হাই কোর্টে মামলা হলেও এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। আদালতের তরফে একাধিকবার তলব করা হলেও লাভলি হাজিরা দেননি বলে অভিযোগ। বর্তমানে অনুপ্রবেশ নিয়ে কড়াকড়ি বাড়তেই ফের চর্চায় চলে আসেন লাভলি। প্রতিবেশীরা জানান, ওই মহিলা ভারতের নাগরিক ছিলেন না। তবে কীভাবে কাগজ পত্র তৈরি করেছেন তা জানা নেই কারও। নথিতে যে ব্যক্তিকে বাবা হিসেবে দেখানো হয়েছে তিনি লাভলির বাবা নন বলেও দাবি স্থানীয়দের। এসব নিয়ে বিতর্কের মাঝেই পদ থেকে সরানো হল অপসারিত লাভলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.