সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় বছরদুয়েক জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি তিনি। আদালতে জামিনের আরজি বার বার খারিজ হয়ে গিয়েছে তাঁর। তবে মমতার আশা, একদিন না একদিন জেলমুক্তি হবে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতার। নির্বাচনী প্রচারে কেষ্ট গড়ে দাঁড়িয়ে অনুব্রতর ঢালাও প্রশংসাও করলেন তিনি।
তৃণমূলের প্রায় জন্মলগ্ন থেকে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) দলের অন্যতম একনিষ্ঠ কর্মী। বীরভূমের মাটিতে ঘাসফুল সংগঠন প্রায় নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন। বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে তাঁকে বসিয়েছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী সময়ে তাঁকে বীরভূমের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের একাংশের সংগঠন দেখার দায়িত্বও দিয়েছিল দল। আর প্রায় কোনও নির্বাচনেই অনুব্রতর নেতৃত্বাধীন এলাকায় ঘাসফুলের ফলাফল দলকে নিরাশ করেনি। উনিশের ভোটে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের সময়েও বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রই ছিল ঘাসফুলের দখলে। তাঁর সেই কাজের কথাই রবিবারের সভা থেকে মনে করিয়ে দিলেন দলনেত্রী।
বোলপুরের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল এবং বীরভূমের তারকা প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে এদিন লাভপুরে নির্বাচনী প্রচার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বীরভূমের অনেক ব্রিজ, রাস্তাঘাট হয়েছে। এবং সেটা সম্ভব হয়েছে ফুল টিম। কেষ্ট আজকে জেলে থাকলেও আমি বিশ্বাস করি এই ছেলেটা উন্নয়নটাকে হাতের মুঠোয় রেখে কাজ করত।”
সেই অনুব্রত মণ্ডলকেই ২০২২ সালে গরু পাচারের অভিযোগে সিবিআই গ্রেপ্তার করে। আপাতত তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। তা সত্ত্বেও অনুব্রত মণ্ডলকে দলের পদ সরানো হয়নি। বরং বারবার তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর অভিযোগ, অনুব্রত প্রতিহিংসার শিকার, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে জোর করে গ্রেপ্তার করেছে। ফের কেষ্টর গড় থেকে জেলা সভাপতির পাশে দাঁড়ালেন দলনেত্রী। তিনি বলেন, “বিজেপি সাজিয়ে গুছিয়ে কেস করেছে। তাতে কী যায় আসে? একদিন না একদিন তো বেরবে। কেজরিওয়ালকেও তো আটকে রেখেছে। হাতে সিবিআই আছে, ইনকাম ট্যাক্স আছে। বিচারব্যবস্থাও অনেকেটা কিনে ফেলেছে ওরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.