নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: কুমন্ত্রণা দিয়ে সংসারে ভাঙন ধরাচ্ছে। এই সন্দেহবশে নিজের শ্বশুর, শাশুড়িকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে গ্রেপ্তার বনগাঁর এক ব্যক্তি। পিন্টু ভদ্র নামে ওই ব্যক্তিকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে বনগাঁ মহকুমা আদালত। ঠাকুরনগরের চিকনপাড়ার এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বয়স্ক দম্পতি।
ঘটনা রবিবার রাতের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে বনগাঁ থানার সুভাষ পল্লির বাসিন্দা পিন্টু ভদ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় ঠাকুরনগর চিকনপাড়ার গায়ত্রী মজুমদারের। বিয়ের পর সব ঠিকঠাকই ছিল। সমস্যা শুরু হয় বছর খানেক আগে থেকে। সংসারে নানা ছোটখাটো কারণে অশান্তি বাঁধতে থাকে। পিন্টুর পরিবারের অভিযোগ, নিজের বাবা, মায়ের কথা শুনে স্বামী ও তার পরিবারের সঙ্গে অশান্তি করছে গায়ত্রী। তাঁদের আরও অভিযোগ, মেয়ের সংসার ভাঙতে মা কুমন্ত্রণা দিচ্ছেন। যার প্রভাব পড়ছে পিন্টু, গায়ত্রীর দাম্পত্যেও। এসব অশান্তির জেরে দিন কয়েক আগে ঠাকুরনগরে নিজের মা, বাবার কাছে গিয়ে থাকতে শুরু করেন গায়ত্রী। কিন্তু স্ত্রীকে ছেড়ে থাকতে নারাজ পিন্টু। শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে চান তিনি। গায়ত্রী তাতে রাজি না হওয়াতেই গোল বাঁধে। পিন্টুর ধারণা হয়, তাঁদের দাম্পত্যে ভিলেন হয়ে দাঁড়াচ্ছেন স্ত্রীর বাবা, মা।
[বিনা নোটিসে বন্ধ চা-বাগান, ১৩০০ শ্রমিকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত]
পুলিশ সূত্রে খবর, রীতিমত পরিকল্পনা করে শ্বশুর, শাশুড়িকে খুনের চেষ্টা করেছিল পিন্টু। সোমবার রাতে ধারাল অস্ত্র হাতে সে লুকিয়ে পড়ে শ্বশুরের ঘরের পিছনে। মাঝরাতে শ্বশুরমশাই কমল মজুমদার উঠে ঘরের বাইরে বেরোতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে পিন্টু। মাথায় কোপ মারে। কমলবাবুর শব্দ পেয়ে ছুটে যান শাশুড়ি মিনুদেবী। তাঁরও মাথায় আঘাত লাগে৷ চেঁচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করতে ছুটে গেলে, পালিয়ে যায় পিন্টু৷ স্থানীয়রা জখমদের উদ্ধার করে ঠাকুরনগর হাসপাতালে নিয়ে যান৷ পরে গাইঘাটা থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন প্রবীণ মজুমদার দম্পতি। তদন্তে নেমে পুলিশ পিন্টুকে গ্রেপ্তার করে। বনগাঁ মহকুমা আদালত তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠায়। নিজের কাজে যদিও অনুতপ্ত নয় পিন্টু। বারবারই তার অভিযোগ, শ্বশুর, শাশুড়ির জন্যই তাঁর সংসার ভাঙছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.