ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: স্ত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী যুবকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। বছর খানেক ধরে তা নিয়ে নীরব ছিলেন স্বামী। দাম্পত্য সম্পর্কে অবনতি হচ্ছিল। সম্প্রতি বিবাদ মেটাতে গ্রামে এ নিয়ে সালিশি সভাও বসে। তারপর স্ত্রী বিয়ে ভেঙে চলে যান বাপের বাড়ি। এই ধাক্কা আর সামলাতে পারেননি স্বামী। সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে স্ত্রীর প্রেমিকের উপর। ওই যুবককে শাস্তি দিতে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে। বরাতজোরে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন ওই যুবক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় (Bhangar) এলাকার ঘটনায় শোরগোল। কুকীর্তি ঘটিয়ে পলাতক অভিযুক্ত। তার খোঁজে নেমেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূ্ত্রে খবর, ভাঙড়ের মাধবপুরের বাসিন্দা খোকন মোল্লা পেশায় অটোচালক। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে প্রতিবেশী যুবক নজরুল গাজির সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছিল দিনদিন। তা দেখে নজরুলের সঙ্গে দু, একবার বচসায় জড়িয়ে পড়ে খোকন মোল্লা। পরকীয়া সম্পর্কের (Extra marrital affairs) কথা গ্রামে জানাজানি হতে একটি সালিশি সভা বসানো হয়। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী খোকনের সঙ্গে আর থাকতে চাননি। তিনি স্বামীকে ‘তালাক’ দিয়ে ফিরে যান বাপের বাড়ি।
স্ত্রীর এই আচরণ একেবারেই মেনে নিতে পারেনি খোকন মোল্লা। তাঁর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে স্ত্রীর প্রেমিক নজরুলের উপর। তা থেকেই খুনের চেষ্টার মতো কাজ করতে উদ্যত হয়ে ওঠে সে। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকালে মাধবপুর বাজারের কাছে নিজের কাজ করছিলেন নজরুল। অটো নিয়ে সেখান দিয়ে যাচ্ছিল খোকন মোল্লা। নজরুলকে দেখে আচমকাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সে। এরপর সঙ্গে থাকা ধারাল অস্ত্র বের করে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নজরুল।
এলাকায় শোরগোল শুরু হয়ে যায়। নজরুলকে উদ্ধার করে নলমুড়ি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হওয়ায় কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক খোকন মোল্লা। খুনের চেষ্টার ঘটনা নিয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে। অভিযুক্ত খোকনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.