সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: স্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল না। বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। পরকীয়া সন্দেহে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে তিনজনকে খুন করল এক ব্যক্তি! অভিযুক্তকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তি ভরতি হাসপাতালে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার বগা নোয়াপাড়া এলাকায়।
অভিযুক্তের নাম রবিউল মিস্ত্রি। পেশায় সে রাজমিস্ত্রি। স্ত্রীকে নিয়ে রবিউল ভাড়া থাকত মহেশতলার বগা নোয়াপাড়ায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্ত্রী ফরিদা বিবির সঙ্গে একেবারেই বনিবনা হত না রবিউলের। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। শেষপর্যন্ত বাপের বাড়িতে চলে যান ফরিদা। কিন্তু রবিউলের সন্দেহ ছিল, এলাকারই কোনও যুবকের সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়েছে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী। প্রেমিকের সঙ্গে ঘরে ছেড়েছেন তিনি। এদিকে রবিউল যাঁকে স্ত্রীর প্রেমিক হিসেবে সন্দেহ করতেন, তাঁর কয়েকজন আত্মীয় থাকতেন রবিউলদের ভাড়াবাড়িতেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বুধবার রাতে বাড়ির সামনে বিদ্যুতের ধাতবের তার ফেলে রাখে রবিউল। সেই তার থেকেই বাড়ির সামনে প্রথমে জামা-কাপড়ে আগুন লেগে যায়। আগুন দেখে যখন বাইরে আসেন বাড়ির লোকেরা, তখন বিদ্যুৎপৃষ্ট হন শেখ জাকির হোসেন, সুলতান শেখ ও মহম্মদ রহমত নামে তিনজন। ঘটনাস্থলেই মারা যান তাঁরা। ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় মহেশতলার বগা নোয়াপাড়া এলাকায়। এদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় অভিযুক্ত রবিউল।বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আক্রা স্টেশন লাগোয়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাকে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মহেশতলার থানার পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় রবিউলকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.