সন্দীপ মজুমদার ও বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য: তুষারপাতের খবর পেয়ে পাহাড়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঘরে আর ফেরা হল না। উদ্ধার হল দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম সিকিমের ফালুটে। বছর আটত্রিশের সৈকত সামন্ত সেখানে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। সৈকতের মৃত্যুতে তাঁর বাড়ি বাগনানের খালোড় গ্রামের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এদিকে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সান্দাকফু সংলগ্ন টুংলিংয়েও। দার্জিলিং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম চন্দ্রশেখর ঘোষ। সোমবার একাই পাহাড়ে বেড়াতে যান অবসরপ্রাপ্ত ওই পুলিশ কর্মী। বুধবার সকালে অনেক হাঁকডাকের পরও সাড়া দেননি চন্দ্রশেখর ঘোষ। সন্দেহ হয় হোটেলের কর্মীদের। তাঁরা দরজা ভেঙে দেখেন চন্দ্রশেখরবাবু বিছানায় পড়ে আছেন। এরপরই শুরু হয় হইচই। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রশ্ন উঠেছে, ঠান্ডায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই কি মারা গেলেন ওই পর্যটক? কারণ, মঙ্গলবার বিকেলের পর দার্জিলিং পাহাড় ও সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমেছে। চন্দ্রশেখরবাবু যে এলাকায় থাকছিলেন, সেখানে তাপমাত্রা ছিল আরও কম। যদিও এই বিষয়ে এখনই পুলিশ কর্তারা কিছু জানাতে অস্বীকার করেন। দার্জিলিং জেলা পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “একজন পর্যটকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
[ জুয়ার আসরে স্ত্রীকে কটূক্তি, বন্ধুকে খুন করে দেহ নর্দমায় ফেলে দিল যুবক ]
ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাতে জানা গিয়েছে, বড়দিনে সান্দাকফু থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নেপাল সীমান্তে টুংলিং এলাকার একটি হোটেলে ওঠেন ওই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী। মঙ্গলবার রাতে নিয়মমাফিক খাবারও খান তিনি। তাঁকে দেখে হোটেল কর্মীদের একেবারেই অসুস্থ বলে মনে হয়নি। কিন্তু বুধবার সকাল ১১টাতেও ঘর বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় হোটেলকর্মীদের। তখনই তাঁরা ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু সাড়া পাননি। চন্দ্রশেখরবাবু সাড়া না দেওয়ায় জোর করে দরজা খুলে ফেলা হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপরই সুখিয়াপোখরি থানার পুলিশ কর্মীরা হোটেলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে।
[ নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যে মোদি, ব্রিগেডে করবেন সভা ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.