টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে গিয়ে যুবকের রহস্যমৃত্যু বাঁকুড়ায়। মৃত যুবকের নাম সুধীর গড়াই (৩০)। পেশায় ভ্যানচালক সুধীর বন্ধুদের সঙ্গে পাড়াতেই পিকনিক করছিলেন। পাড়ার এক নবনির্মিত বাড়ির ছাদে চলছিল ডিজে বাজিয়ে পিকনিক। সেখানেই দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও মৃতের স্ত্রী ঝুমা গড়াইয়ের অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে সঙ্গীসাথীরা। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় এলাকায়।
এদিকে যুবকের রহস্যমৃত্যুতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বলে অভিযোগ, ঝুমাদেবী স্বামীর খুনের অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা থেকে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে সোমবার দেহের ময়নাতদন্ত হয়। এদিন সন্ধ্যায় থানা থেকে সুধীরবাবুর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে গেলেই শুরু হয় বিক্ষোভ। থানার প্রবেশদ্বারের সামনে বসে পড়ে দেহ আটকে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করেন মৃতের স্ত্রী। এতে পড়শিরাও যোগ দেন। এই বিক্ষোভের জেরেই এফআইআর নিতে বাধ্য হয় বেলিয়াতোড় থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মহালয়ার আগের রাতে পাড়াতেই পিকনিকে যান সুধীর গড়াই। নবনির্মিত বাড়ির ছাদে চলছিল পিকনিক। ডিজে বাজিয়ে নাচ করছিলেন সকলে। গভীর রাতে আচমকাই ঝুমাদেবীর কাছে খবর আসে, তাঁর স্বামীর গুরুতর আহত। তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খবর পেয়েই তিনি হাসপাতালে ছোটেন। ততক্ষণে সব শেষ। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন সুধীর গড়াই। তাঁর মাথা মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতচিহ্ন। সঙ্গীসাথীদের দাবি, পিকনিক স্পটটি বেলিয়াতোড় থেকে সোনামুখী যাওয়ার রাস্তার উপরেই অবস্থিত। পিকনিকে আসার সময় সুধীরবাবুকে কোনও গাড়ি ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও সঙ্গীদের এই সাফাই মানতে নারাজ ঝুমাদেবী। তাঁর বক্তব্য, স্বামী সন্ধ্যারাতেই পিকনিকের জায়গায় চলে গিয়েছিলেন, আর দুর্ঘটনার খবর এসেছে গভীর রাতে। অভিযোগ, সঙ্গীরাই পিকনিক চলাকালীন তাঁকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও মুখে কুলুপ এঁটেছে মৃতের সঙ্গীরা। পুলিশ এখনও পর্যন্ত সঙ্গীসাথীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যুবক মৃত্যুর ঘটনায় রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে বাঁকুড়া পুলিশের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.