সোমবার একইভাবে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ২ জনের।
সুব্রত বিশ্বাস: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের শেওড়াফুলিতে দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার সন্ধেয় ফের ভিড়ের চাপ সামলাতে না পেরে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল একব্যক্তির। ইতিমধ্যেই রেল ও পুলিশের তরফে উদ্ধার করা হয়েছে ওই ব্যক্তির দেহ।
চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর কারণে কয়েকদিন ধরেই ট্রেনে প্রচুর ভিড়। নিত্যযাত্রীর সঙ্গে যোগ হয়েছেন দর্শনার্থীরাও। ফলে বাদুরঝোলা হয়েই চলছে যাতায়াত। মঙ্গলবার সন্ধেয় কোনওরকমে সেরকমই ভিড়ে ঠাসা একটি ট্রেনে উঠে পড়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু ভিতরে যেতে পারেননি। দরজার কাছেই ছিলেন তিনি। ট্রেনটি শেওড়াফুলি স্টেশন ছেড়ে বৈদ্যবাটির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরই ৪নম্বর গেটের কাছে ভিড়ের চাপে হাত ফসকে যায় তাঁর।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীরা। তারাই এসে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। যদিও ততক্ষণে মৃত্যু হয় ওই যাত্রীর। তবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। মৃতের সঙ্গে থাকা কাগজ পত্রের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের খোঁজ করছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ট্রেনে এত ভিড় ছিল যে ওই ব্যক্তি ভিতরে ঢুকতে পারেননি। ফলে দরজায় কার্যত বাদুড়ঝোলা হয়েই যাচ্ছিলেন। ভিড়ের চাপ রাখতে না পারার ফলেই এই দুর্ঘটনা। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে যে, জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দর্শনের উদ্দেশ্যেই বেরিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ৯টা ১৫ মিনিট থেকে সাড়ে ন’টার মধ্যে হাওড়া-ব্যান্ডেল আপ লোকালেও একইভাবে দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেন যখন শেওড়াফুলি স্টেশন ছেড়ে বৈদ্যবাটির দিকে যাচ্ছিল তখন ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে পড়ে যান এক ব্যক্তি। তারপর পরই আরও একজন ভিড়ের চাপে পড়ে যান। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া তো দূর, একইভাবে বাদুরঝোলা হয়ে যাতায়াতে নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছেন বলে মনে করছেন অনেকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.