বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: রাজনৈতিক বিবাদ নাকি অন্য কোনও কারণ, নবদ্বীপে যুবক খুনের ঘটনার দিন দুই পরও জারি তরজা৷ বিজেপির অভিযোগ, ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ’ বলায় তৃণমূল কর্মীরা খুন করেছে তাঁকে৷ যদিও তৃণমূলের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে৷ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব গেরুয়া শিবির৷ শনিবার সকালে দেহ নিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে নবদ্বীপ ঘাট রোড অবরোধ করেন কর্মী-সমর্থকরা৷ থানাও ঘেরাও করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা৷ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না হলে নবদ্বীপে বনধের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷
নিহত কৃষ্ণ দেবনাথ চেন্নাইয়ে একটি হোটেলে কাজ করতেন। দেড় বছর পর বাড়ি ফেরেন তিনি৷ ওইদিন রাতে ভগ্নীপতির সঙ্গে বাড়ির কাছেই মদ্যপান করছিলেন কৃষ্ণ৷ বছর বত্রিশের ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় বেসামাল হয়ে পড়েন। ভগ্নীপতির দাবি, সেখানেই বেশ কয়েকজন গালিগালাজ করে তাঁকে। এমনকী লাঠি, রড দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। প্রথমে মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে পরিস্থিতি খারাপ হলে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি৷ বৃহস্পতিবার কলকাতায় মারা যান কৃষ্ণ দেবনাথ।
তাঁর মৃত্যুর পরই বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল কৃষ্ণর বাড়িতে যায়। নিহতের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। বিজেপির জেলা সভাপতি (উত্তর) মহাদেব সরকার অভিযোগ করেন, কৃষ্ণ বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘নরেন্দ্র মোদি জিন্দাবাদ’ উচ্চারণ করেছিলেন। তাই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা লাঠি, রড দিয়ে মারধর করে। তাতেই মারা গিয়েছেন কৃষ্ণ। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা না গেলে নবদ্বীপ বনধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে বিজেপি৷ যদিও গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল৷ এ প্রসঙ্গে নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হরিদাস দেবনাথ বলেন,‘‘খুনের সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়। ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ঝামেলা করছিল তাই তাঁকে স্থানীয়রাই মারধর করেছে। আসলে বিজেপি এই মৃত্যুর মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে।’’ দু’পক্ষের মধ্যে যতই বাদানুবাদ চলুক না কেন মৃতের পরিবারের তরফে এখনও কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়নি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.