প্রতীকী ছবি
সম্যক খান, মেদিনীপুর: পরপর কন্যা সন্তান হওয়ায় স্ত্রীর ছোট বোনকে বিয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল। রাজি না হওয়ায় বাড়িতে ট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় সে। সেই ঘটনায় স্ত্রী, শাশুড়ী, দুই শ্যালক সহ মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়। সেই আসামী তাহের আলিকে বুধবার আজীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে মেদিনীপুর আদালত। ঘটনাটি কেশপুরের বাড়াগেড়্যা গ্রামের।
সরকারি আইনজীবী রাজকুমার দাস জানান, ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল আসামী তাহের আলি ওই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। নিজের স্ত্রী মিনারা বিবির পরপর তিন কন্যাসন্তান জন্ম হয়। তাই স্ত্রীর পাশাপাশি ছোট শ্যালিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল তাহের। কিন্তু শ্যালিকা ও পরিবারের কেউই সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ননি। ৩০ এপ্রিলের অভিশপ্ত রাতে শ্বশুরবাড়িতে যখন সকলেই ঘুমে আচ্ছন্ন। গভীর রাতে তাহের শ্বশুড়বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় তাহেরের স্ত্রী, শাশুড়ী, দুই শ্যালক-সহ মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়। গুরুত্বর দগ্ধ হয় আরও ৫ জন। ঘটনার পরই গ্রেপ্তার করা হয় তাহেরকে। এতদিন সেই মামলা চলছিল। এদিন মেদিনীপুরের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক কুসুমিকা দে মিত্র তাকে আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন। এই সাজায় নিহতের পরিবারের জ্বালা কিছুটা প্রশমিত হলেও, তারা পুরোপুরি খুশি নন। নৃশংস হত্যাকারীর ফাঁসির সাজা দেখতে চেলেছিলেন তাঁরা।
অন্যদিকে বুধবারই অপর একটি পকসো মামলায় আসামী খগেন দোলইকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সরকারি আইনজীবি স্বর্ণেন্দু পারিয়াল জানিয়েছেন, গত ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল খড়্গপুর লোকাল থানার এক গ্রামে শীতলাপুজো উপলক্ষ্যে মাসিবাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ১২ বছরের নাবালিকা। রাতে পুজোস্থল থেকে যখন বাড়ি ফেরার সময় খগেন তাকে ধরে এক বাঁশঝোপে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর গ্রেপ্তার হয় আসামী। এদিন মেদিনীপুরের পকসো আদালতের বিচারক আশুতোষ সরকার তাকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.