জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: পাঁচবছরের প্রেমের পর গোপনে বিয়ে। পরবর্তীতে প্রেমিকার পরিবার বিয়ের জন্য চাপ দিতেই বেঁকে বসেছিল যুবক। আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল বলেও অভিযোগ। যার পরিণতি হল ভয়ংকর। অপমানে আত্মহত্যার পথই বেছে নিলেন তরুণী! এর পরই প্রেমিকের বাড়িতে হামলা তরুণীর পরিবারের সদস্যদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল চাঞ্চল্য উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর নাম পিয়ালী সরকার। তাঁর বাড়ি বনগাঁ থানার কালপুর এলাকায়। সূত্রের খবর, পিয়ালীর সঙ্গে এলাকারই বাসিন্দা সায়ক নামে এক যুবকের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে তাঁরা লুকিয়ে বিয়ে করে বলেও খবর। বিষয়টা কেউ জানতো না। এর পর তরুণীর পরিবারের তরফে বিয়ের জন্য তাঁকে চাপ দিতে শুরু করে। সেকথা প্রেমিককে জানান তরুণী।
অভিযোগ, বিয়ের কথা বলতেই বেঁকে বসে যুবক। বিয়ে করতে অস্বীকার করে সে। প্রেমিকাকে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার কথাও বলে অভিযুক্ত, অভিযোগ এমনই। এর পরই দিন কয়েকআগে পিয়ালী বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। দীর্ঘ ছয়-সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তরুণী। এর পরই পিয়ালীর প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকেরা সায়কের বাড়িতে চড়ান হন। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সায়কের বাবাকে আটক করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.