রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি নয়, বরং আক্রান্তদের উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল আলিপুরদুয়ার।
গত কয়েক দিনে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারে। আতঙ্ক এতটাই গ্রাস করেছে যে, স্রেফ সন্দেহে বশে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। গত একমাসে আলিপুরদুয়ারে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন সাতজন। জলপাইগুড়িতে একজন মারাও গিয়েছে। গণপিটুনি রুখতে রীতিমতো মাইকিং করে প্রচারে নেমেছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। ফলও মিলল হাতেনাতে।
রবিবার সকালে কালচিনির কালকূট বসতিতে এক অচেনা ব্যক্তিকে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই ব্যক্তি আবার প্রতিবন্ধী, কথা বলতে পারেন না। তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, কালকূট বসতিতে ওই ব্যক্তিকে আটক করে রাখা হয়। তবে গণপিটুনি না দিয়ে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশকে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে। কালচিনি থানার ও সি অভিষেক ভট্টাচার্য্য বলেন, “ উদ্ধার হওয়া ব্যাক্তি কথা বলতে পারেন না। তাই নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে এলাকার মানুষেরা সচেতন হয়েছেন।’
এদিকে শনিবার মধ্যরাতে আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া দমনপুরে এক ব্যক্তিকে গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা করেন এলাকার কয়েকজন যুবক। জানা গিয়েছে, রাতে ছেলেধরা সন্দেহে যখন ওই যুবককে ধরে মারধর করতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা, তখন এলাকার কয়েকজন যুবক রুখে দাঁড়ান। আক্রান্তকে ক্লাব উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্কুলে নিয়ে গিয়ে খবর দেওয়া হয় থানায়। ওই যুবককে উদ্ধার করে থানা নিয়ে চলে যায়। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বাড়ি কালচিনিতে। পথ ভুলে তিনি আলিপুরদুয়ারের দমনপুরে চলে এসেছিলেন। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, “ মানুষ সচেতন হয়েছেন, এটা দেখে ভাল লাগছে। খুব তাড়াতাড়ি গণপিটুনির সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা করছি। আমরা লাগাতার প্রচার চালাচ্ছি।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.