বাবুল হক, মালদহ: বাপের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার জন্য বায়না ধরেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু বারবার আবদার সত্ত্বেও স্ত্রীকে যাওয়ার অনুমতি দেননি স্বামী। এই নিয়ে দিন কয়েক ধরেই দম্পতির মধ্যে বচসা চলছিল। অবশেষে স্ত্রীর বাবার বাড়ি যাওয়া আটকাতে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিদগ্ধ হলেন স্বামী। বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মণিপুর গ্রামে।
জানা গিয়েছে, অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তির নাম দিগম বাগদি (২৫)। হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজারের মণিপুরে তাঁর বাড়ি। প্রায় দেড় বছর আগে ওই এলাকারই মেয়ে ফুলকুমারী মহলদারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। মাস চারেক আগে তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও হয়। তারপর থেকে আর বাপের বাড়ি যাওয়া হয়নি ফুলকুমারীদেবীর। জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় ফুলকুমারীদেবী ফের বাবার বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন। তাঁকে যেতে নিষেধ করেন দিগম। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও কার্যত জোর করেই নিজের সন্তান কোলে নিয়ে বেরিয়ে যেতে উদ্যত হন মহিলা। সেই সময়ই ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন দিগম। আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন ফুলকুমারীদেবী। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে আগুন নেভান।
এরপর স্থানীয়রা দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, এখও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পায়নি পুলিশ। অভিযোগ পেলে তারা পদক্ষেপ করবে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দগ্ধ ওই ব্যক্তির স্ত্রীর কাছ থেকে এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে তুচ্ছ এই অশান্তির জন্যই কি আত্মহননের সিদ্ধান্ত নিলেন ওই ব্যক্তি? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.