ছবি: প্রতীকী
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: দিনভর ঠ্যালা চালিয়ে রাতে বাড়ি ফিরে সবে খেতে বসেছিলেন। এমন মোক্ষম সময়েই হামলা চলল যুবকের উপর। একের পর এক ছররা গুলি চলল। উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ইসলামপুরের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, জখম যুবক তৃণমূল কর্মী। কিন্তু তাঁর পরিবারের দাবি, কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত নন তিনি। কে বা কারা হামলা চালাল, তার তদন্তে নেমেছে জেলা পুলিশ।
জখম যুবকের নাম শুক্রু মহম্মদ। ইসলামপুরের (Islampur) বন্দিরামগজের বাসিন্দা পেশায় ঠ্যালাচালক। দিনভর ঠ্যালা চালিয়ে অর্থ উপার্জন করেন। তাতেই কোনওক্রমে দিন গুজরান হয়। সোমবারও রাতে অন্যান্য দিনের মতোই তিনি সারাদিন কাজ করে বাড়ি ফিরেছিলেন। তাঁর খাবার রেডি করে বসেছিলেন স্ত্রী। বাড়ি ঢোকার পরই শুক্রু মহম্মদকে লক্ষ্য করে একের পর এক ধেয়ে আসে ছররা গুলি। বুকে, পিঠে, কোমরে, পায়ে একে একে গুলি লাগে তাঁর। জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
প্রতিবেশীরা শুক্রুকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীরে প্রচুর গুলির ক্ষত রয়েছে। ছররা গুলিই চলেছিল কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসকরা। আপাতত শুক্রুকে সুস্থ করে তোলাই মূল লক্ষ্য তাঁদের।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের (TMC) ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের বক্তব্য, ”শুনলাম আমাদের একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আশা করি, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।” যদিও তাঁর স্ত্রী নামরুল খাতুনের দাবি, ”আমার স্বামী কখনও কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তবে ইদানিং পঞ্চায়েত প্রধান তাঁকে তৃণমূলে যোগদানের জন্য বারবার বলছিল। তারপরই এই হামলা।” দু’পক্ষের দুরকম বক্তব্যের জেরে এই গুলিকাণ্ড ঘিরে শোরগোল পড়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.