চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: কলকাতার সীমানা ছাড়িয়ে পচা মাংসের কারবার ছড়িয়ে জেলাতেও। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের কান্দিতে মরা ছাগলের মাংস বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। ওই মাংস ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে কান্দি থানার পুলিশ।
[ভাগাড় কাণ্ডের জাল নিউ মার্কেটেও, মাংস বিশুকে জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
কান্দি শহরের ব্যস্ত সড়ক মোহনবাগান হাসপাতাল রোড। রাস্তা দু’ধারে ১৫ থেকে ২০টি মাংসের দোকান। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নজরদারির কোনও বালাই নেই। পুরসভার বিনা অনুমতিতে রমরমিয়ে চলছে মাংসের ব্যবসা। মঙ্গলবার সকালে দুর্গন্ধে টিকতে পারছিলেন না স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচলতি মানুষ। তাঁদের দাবি, মোহনবাগান হাসপাতাল রোডের একটি মাংসের দোকান থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই মাংস দোকানে হাজির হন স্থানীয় বাসিন্দারা। দোকানের মালিককে চেপে ধরেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চাপের মুখে দোকান মালিক স্বীকার করে নেন, তাঁর দোকানে পচা ছাগলের মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। বিষয়টি জানাজানিতে হতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত মাংস ব্যবসায়ীকে মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ওই মাংসের দোকানে যায় কান্দি থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোথায় থেকে মরা ছাগলের মাংস এল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[নেশা ছাড়ানোর নামে বেধড়ক মারধর, রিহ্যাব সেন্টারে মৃত্যু যুবকের]
ভাগাড় কাণ্ডে এখন সরগরম গোটা রাজ্য। শহরতলি কিংবা জেলা শুধু নয়, খাস কলকাতা রমরমিয়ে চলত পচা মাংসের কারবার। চক্রের মূল পাণ্ডা মাংস বিশুকে জেরা করে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার নাকের ডগায় নিউ মার্কেটে বছরের পর বছর নিয়ম করে আনা হত ভাগাড়ের মাংস। সেখানেই প্যাকেট করে তা পৌঁছে যেত শহরের একাধিক রেস্তরাঁ ও হোটেলে। তবে মুর্শিদাবাদে অবশ্য এতদিন ভাগাড়ের মাংস বিক্রি করার কথা শোনা যায়নি।
[বিরল প্রত্নতত্ত্বের নমুনা! তিস্তার চরে খোঁজ মিলল প্রাচীন বুদ্ধমূর্তির]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.