ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: প্রথমে বিশ্বভারতী, তারপর রবীন্দ্রভারতী, মালদহ। রবীন্দ্রনাথের গানে অশ্লীল শব্দ জুড়ে উদ্দাম নাচ। এবার এই কাণ্ডে নাম জড়াল বারাসতের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল হাই স্কুলের। রবীন্দ্রভারতীর ঘটনা সামনে আসার পরই এই স্কুলের হলঘরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
যাতে দেখা যাচ্ছে, স্কুলের ছাত্ররা একইভাবে রবীন্দ্রনাথের গান বিকৃত করে গাইছে এবং নাচছে। স্কুলভবনের ভিতর এমন ঘটনা ঘটায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলেই। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্ররা প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই স্কুল থেকে প্রতি বছরই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্ররা মেধাতালিকায় জায়গা করে নেয়। এই ঘটনায় স্কুলের সম্মানহানি হয়েছে। তাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।
স্কুলের প্রধানশিক্ষকের বক্তব্য, তিনি বিষয়টি জানেন না। তাঁর সাফাই, মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ব্যস্ততার কারণে সোশ্যাল মিডিয়া দেখার সুযোগ হয়নি। তবে প্রশ্ন উঠেছে, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি না দেখে থাকতে পারেন, তবে স্কুলের ভিতরেই ছাত্রদের এইরূপ উচ্ছৃঙ্খলতা তাঁর নজর এড়িয়ে গেল কীভাবে? প্রধানশিক্ষকের দাবি, অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হবে।
রবীন্দ্রভারতীর বসন্তোৎসবে বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীর পিঠে এবং বুকে আবির দিয়ে অশালীন শব্দ লেখা ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই সমালোচনার সুর চড়ান নেটিজেনরা। সিঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরি। পুলিশ তদন্তে নেমে পাঁচজন ছাত্রছাত্রীকে চিহ্নিত করে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চায়। আপাতত এই ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই ছবিগুলি আদৌ সত্য কি না, তা খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও একের পর এক এই ঘটনা সামনে আসার পর অনেকেই প্রশ্ন করছেন, তবে কি সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রেন্ডিংয়ের হাওয়ায় গা ভাসাতে গিয়ে কোনওভাবে রুচির অবনতি ঘটছে পরবর্তী প্রজন্মের?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.