Advertisement
Advertisement
Asansol

পারিবারিক বিবাদে গৃহবধূকে মারধর ভাশুরের, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সুবিচারের দাবি নির্যাতিতার মেয়ের

হামলার এই দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে পুলিশকে দেখাল আক্রান্তের মেয়ে।

Married Woman allegedly beaten in Asansol | Sangbad pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:May 9, 2023 9:30 pm
  • Updated:May 9, 2023 9:30 pm  

শেখর চন্দ্র, আসানসোল: পারিবারিক বিবাদের জেরে গৃহবধূর উপর হামলা ও মারধর। নিজের ভাইয়ের স্ত্রীকেই রড দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিল ভাশুর ও ভাশুরের ছেলে। হামলার এই দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে পুলিশকে দেখাল আক্রান্তের মেয়ে। স্কুলপড়ুয়া সাহিনার দাবি, সে বাংলার মেয়ে, তাই এই ঘটনায় সুবিচার চাই তাঁর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কানুন অর্থাৎ প্রশাসনের কাছে ইনসাফ দাবি করেছেন স্কুলপড়ুয়া সাহিনা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর আসানসোলের রেলপাড়ে।

আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের বাসিন্দা মহম্মদ কাদির তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন ও তিন মেয়ে নিয়ে থাকেন উত্তর আসানসোলের বাবুয়া তালাও এলাকায়। ওই একই বাড়িতে থাকেন কাদিরের দাদা মহম্মদ হায়দার তাঁর স্ত্রী ছেলে মেয়েদের নিয়ে। কাদিরের অভিযোগ হায়দারের পরিবার প্রায়ই ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে। হামলা চালায় তাঁদের উপর। অতীতে প্রাণঘাতী হামলাও চালিয়েছিল। এটেম টু মার্ডার মামলা হয়েছিল। তারপর ওরা পালিয়েছিল। হায়দার এবং তার পরিবারের অত্যাচারে কাদিরও প্রায়ই ঘরছাড়া হয়ে থাকতে হয় পরিবার নিয়ে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুকন্যা গ্রেপ্তার হলে জয় শাহ নয় কেন? অনুব্রতকন্যার পাশে দাঁড়িয়ে বীরভূমে সরব অভিষেক]

সম্প্রতি ঘরে ফিরে এসেছেন কাদির সাবিনা। ফের ঝামেলা অশান্তি শুরু হয়। অভিযোগ মঙ্গলবার মহম্মদ হায়দার ও তার ছেলে মহম্মদ কালি রড নিয়ে হামলা চালায় সাবিনা খাতুনের উপর। এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে সাহিনা পারভিন। হামলার শিকার হন তাঁরাও। ক্যামেরাবন্দি দৃশ্যে দেখা যায় উপরতলার সিড়ি থেকে রড নিয়ে মহম্মদ কালী আসছে সাবিনাকে হামলা চালাতে। এরপর বেপরোয়াভাবে রড মাথায় মারে। আবার অন্য একটি দৃশ্যে রক্তাক্ত সাবিনা খাতুন ওষুধের দোকানে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন।

মহম্মদ কাদিরের দাবি তিনি হার্টের পেসেন্ট। ঝগড়াঝাটি করতে পারেন না, কিন্তু তাকেও মারধর করা হয়। এই ঘটনার পর তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। সাবিনা খাতুনের মাথা ফেটে যাওয়ার পর জেলা হাসপাতালে ভরতি হন। আক্রান্ত পরিবারের দাবি অবিলম্বে এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ঘটনার পর হামলাকারী মহম্মদ হায়দার ও তার পরিবার গা ঢাকা দেয়। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: দলবদলের ইঙ্গিত? তৃণমূল নেতার ফেসবুকে মহম্মদ সেলিমের পোস্ট! দুর্গাপুরে চাঞ্চল্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement