অর্ণব দাস, বারাকপুর: এগরার পর দত্তপুকুর। মে মাসের পর আগস্ট। ঠিক সাড়ে তিন মাস পর ফের রাজ্যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। কমপক্ষে ৬-৭ জনের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিস্ফোরণের তীব্রতায় প্রায় ধূলিসাৎ একটি দোতলা বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অন্তত ১০০টি বাড়ি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।
রবিবার সকালে আচমকাই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বারাসত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোছপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে যায় একটি দোতলা বাড়ি। আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয়দের দাবি, কেরামত এবং সামসুল দু’জনে মিলে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করত। ওই বাজি দোতলা বাড়িতে মজুত করে রাখা হত। তা ফেটেই এমন বীভৎস ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বাজি কারখানা চললেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ। পরিবর্তে পুলিশ এখান থেকে তোলাবাজি করত বলেও দাবি স্থানীয়দের। এই ঘটনার সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক রথীন ঘোষেরও মদত ছিল বলেই অভিযোগ।
বিস্ফোরণে ঠিক কতজনের প্রাণ গিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। বিস্ফোরণস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দেহাংশ। স্থানীয়রা মনে করছেন কমপক্ষে ৬-৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অনেকেই। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দত্তপুকুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। এখনও পর্যন্ত বাজি ব্যবসায়ী কেরামত ও সামসুলের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.