অর্ণব দাস, বারাসত: দত্তপুকুরের মোছপোল গ্রাম যেন জতুগৃহ! রবিবারের বিস্ফোরণের পরই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক বেআইনি বাজি কারখানা, রাসায়নিক মজুত রাখার গুদামের হদিশ। এবার বিস্ফোরণস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে আরও এক গুদামের খোঁজ মিলল। যেখানে বিপজ্জনক রাসায়নিক মজুত করতেন বিস্ফোরণে নিহত কেরামত আলি। স্থানীয়রা বারণ করলেও তাতে কর্ণপাতও করতেন না তিনি। এমনকী, পুলিশ-প্রশাসনও বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নিতেন না বলেই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রবিবারই ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে বারাসত (Barasat) লাগোয়া দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জ ফাঁড়ির নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোছপোল পশ্চিমপাড়া অঞ্চল। প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে যায় একটি দোতলা বাড়ি। আশপাশের অন্তত ১০০টি বাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৯ জনের। অভিযোগ, কেরামত আলি এবং সামসুল দু’জনে মিলে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি করত। সেই কেরামত আলিরই ভাড়া নেওয়া আরও এক বাজি এবং রাসায়নিক ঠাসা গোডাউনের হদিশ মিলল মোছপোল গ্রামে।
মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, বিস্ফোরণস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে একটি একতলা বাড়ির ভিতরে সারি দিয়ে রাখা সাদা প্লাস্টিকের বস্তা। তার মধ্যে মজুত করা হয়েছে সাদা-সাদা রাসায়নিক এবং প্রচুর বাজি। পুলিশ খবর পেয়ে সেই সমস্ত বাজি উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়ে যায়। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও বাড়ির মধ্যে বাজি, রাসায়নিক মজুত করতেন কেরামত। যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে, এই আশঙ্কায় দিন কাটত স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের সাফ কথা, “পুলিশ সবই জানত। কিন্তু ওরা তো কিছু করে না।” “পুলশের মদত ছাড়া এসব চলতে পারে?” পালটা সংবাদমাধ্যমকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছেন দত্তপুকুরের মোছপোল গ্রামের বাসিন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.