নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: ভয়াবহ আগুনের গ্রাস থেকে এলাকাকে কার্যত বাঁচাল এক ভবঘুরে মহিলা। এলাকায় তিনি ‘চিনু পাগলি’ বলে পরিচিত। যদিও তিনি লক্ষ করার আগে দু’টি বাড়ি ও একটি করাতকল আগুনের গ্রাসে চলে যায়। মঙ্গলবার রাত তিনটে নাগাদ বনগাঁ থানার বকসি পল্লি এলাকার এই ঘটনায় এলাকাজুড়ো রয়েছে আতঙ্কের আবহ। কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখছে দমকল।
দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোর রাতে চিনু দাস নামে এলাকার এক ভবঘুরে মহিলার চিৎকারে স্থানীয়দের ঘুম ভাঙে৷ এলাকায় তিনি ‘চিনু পাগলি’ বলে পরিচিত। আগুন দেখে তিনি চিৎকার জুড়ে দেন। তাঁর চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা বাড়ির বাইরে এসে দেখেন, দাউ দাউ করে জ্বলছে করাতকল। এরপর স্থানীয়রাই বাড়ি থেকে বালতিতে জল নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন৷ মোটর চালিয়ে পাইপ লাগিয়ে জল দেওয়াও শুরু হয়। খবর যায় দমকলে। দু’টি ইঞ্জিন এসে ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন করাতকলের মালিক অশোক অধিকারী। গোটা ঘটনায় তিনি ভেঙে পড়েন। তবে কত টাকার ক্ষতি হয়েছে এখনও জানাননি তিনি৷ পাশাপাশি গোপাল পালের বাড়ি ঘরে আগুন ধরে যায়। তবে ওই দু’টি ঘরে কেউ ছিলেন না। ফলে আহত বা নিহত কেউ হননি। কিন্তু একটি ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র পুড়ে যায়। অমরকৃষ্ণ টিকাদারের বাড়ির পাইপ আগুনে পুড়ে গলে যায়। তাঁর ঘরের দেয়াল গরম হয়ে ওঠে৷ আতঙ্কিত অমরকৃষ্ণ ঘরের থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দমকলকে খবর দেওয়া হলেও ঘটনাস্থলে আসতে প্রায় ৪০ মিনিট দেরি করে তারা৷ তবে, এলাকাবাসী এখন ‘চিনু পাগলির’ প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শিক্ষিকা প্রতিমা মল্লিক বলেন, “চিনু পাগলি চেঁচামেচি করে সকলকে ডেকে না তুললে হয়তো আরও বড় ক্ষতি হয়ে যেত।” দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও কীভাবে আগুন লাগল খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.