জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বড়মার ঘর কার? তা নিয়ে রবিবার রাত থেকে ধুন্ধুমার ঠাকুরবাড়ি। তালা ভাঙাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ অশান্তি শেষে ফের তালা পরে বড়মার ঘরে। সোমবার পুলিশের উপস্থিতিতে খোলা হল তালা। ঠিক হয়, এবার থেকে ভক্তদের জন্য খোলা হবে বড়মার ঘর, ঢুকবেন না শান্তনু বা মমতাবালারা কেউই। যদিও তাতেও থামল না কোন্দল। শান্তনু ও মমতাবালার অনুগামীদের বিক্ষোভে নতুন করে উত্তপ্ত ঠাকুরবাড়ি।
রবিবার রাতে তৃণমূলের তরফে একটি ভিডিও টুইট করা হয়। সেখানে দেখা যায়, একটি হাতুড়ি দিয়ে কোলাপসিবল গেট ভাঙার চেষ্টা করছেন শান্তনু ঠাকুর। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া আরও অনেকেই তাঁকে দরজাটি ভাঙতে সাহায্য করছে। তৃণমূলের অভিযোগ, মমতাবালা ঠাকুরের বাড়িতে চড়াও হওয়া সকলের হাতেই ছিল ধারালো অস্ত্র। অবশেষে দরজা ভেঙে ঘর দখল করে ভিতরে বসেও পড়েন শান্তনু ঠাকুর, তাঁর ভাই-সহ পরিবারের লোকজনেরা। রাতভর চলে অশান্তি। পরবর্তীতে ঠিক হয়, বড়মার ঘর থাকবে ভক্তদের জন্য। তালা বন্ধ করে ঘর থেকে বেরিয়ে যান শান্তনু ঠাকুর। সোমবার দুপুরে গাইঘাটা থানার পুলিশ ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে তালা খুলে দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঠাকুরবাড়ি।
একদিনে শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীরা, অন্যদিকে মমতাবালার অনুগামীরা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। ওঠে স্লোগান পালটা স্লোগান। প্ল্যাকার্ড হাতে পথে নামেন মমতাবালার অনুগামীরা। মিছিল করে গাইঘাটা থানায় হাজির হন মমতাবালা ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সব মিলিয়ে নতুন করে প্রবল উত্তেজনা ঠাকুরবাড়িতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.