বিষ্ণুপুর আদালতের পেশ করা হচ্ছে মুজিবুর খানকে। নিজস্ব চিত্র।
অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: জঙ্গলের রাস্তায় গাছ ফেলে কনেযাত্রীর বাস ও লরি আটকে ডাকাতি। বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে ডাকাতির ঘটনায় মূলচক্রীকে শুক্রবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করল বিষ্ণুপুর ও তালড্যাংরা থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শাটার আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, চক্রের দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে পাচার করত। কখনও সেই গাছ রাস্তায় ফেলে গাড়ি আটকে লুটপাটও চালাত।
ধৃতের নাম মুজিবুর খান। গড়বেতা থানার ছোট আঙারিয়ার বাসিন্দা। ডাকাতির ঘটনায় ১ ডিসেম্বর ওন্দা থানার অন্তর্গত পুনিশোল কংসাবতী ক্যানালের পাড় সংলগ্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাদেক খানকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনায় আরও চারজন যুক্ত। জানা যায়, ডাকাতির মাথা ছিল মুজিবুর খান। বাকি তিনজনের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তিন অভিযুক্তকেও চিহ্নিতও করে ফেলে তারা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মকসুদ হাসান বলেন, “গত ৩০ নভেম্বর গভীর রাতে আমরা খবর পাই, বিষ্ণুপুরের ঢ্যাঙাসোলের জঙ্গলের রাস্তায় গাছ ফেলে কিছু দুষ্কৃতী শালতোড়া থেকে আসা কনেযাত্রীর বাস আটকায়। মোট ৫ জন দুষ্কৃতী বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ কয়েক হাজার টাকা ও মহিলাদের সোনার গয়না ছিনতাই করে। এরপর আরও একটি লরি আটকে ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিষ্ণুপুরের এসডিপিও, বিষ্ণুপুর ও তালড্যাংরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।” তবে ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছিল। মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। জানা যায়, ওই ঘটনার মূল পাণ্ডা গড়বেতা থানার ছোট আঙারিয়া গ্রামের বাসিন্দা মুজিবুর খান। আরও তিনজনের নাম পায় পুলিশ। এর পর পুলিশ বাহিনী জঙ্গল-সহ আশেপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছিল।
শুক্রবার রাতে সূত্র মারফত খবর পেয়ে আধকাটার জঙ্গল থেকে মুজিবুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে নেয় এবং বাকি তিনজনের নামও জানিয়ে দেয়। মুজিবুরের কাছে একটি বাইক ছিল। সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। বাইক ও আগ্নেয়াস্ত্র পুলিশ আটক করেছে। বরযাত্রীদের কাছ থেকে লুট হওয়া গয়না ও টাকাপয়সার কিছুটা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা বিস্তারিতভাবে পুলিশ জানায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.