ধীমান রায় ও গোবিন্দ রায়: মঙ্গলকোটের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুনে গ্রেপ্তার মূল চক্রী। দিল্লি থেকে শেখ রাজুকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি(CID)। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা অসীম দাসকে খুনের জন্য একাধিক সুপারি কিলারকে টাকা দিয়েছিল ধৃত।
ঘটনার সূত্রপাত ১২ জুলাই। ওই দিন সন্ধেয় কাশেমনগর থেকে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন অসীম দাস। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী কমিটি ‘সিট’ গঠন করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় ২ জনকে। পরবর্তীতে অসীম দাস খুনের তদন্তভার সিআইডি’র (CID) হাতে তুলে দেয় রাজ্য প্রশাসন। তদন্ত শুরুর পরই শেখ রাজুর উপর নজর পড়ে তদন্তকারীদের। কিন্তু কোনওরকম তথ্য প্রমাণ হাতে আসছিল না। অবশেষে তথ্য মেলায় দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শেখ রাজুকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
কিন্তু কেন খুন? জানা গিয়েছে, ধৃত শেখ রাজুর বাড়ি বীরভূমের (Birbhum) নানুরে। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের মল্লিকপুরে তার শ্বশুরবাড়ি। গত ৩-৪ বছর ধরে শ্বশুরবাড়িতেই থাকত সে। সূত্রের খবর, প্রথমে নদি থেকে বালি তোলার যন্ত্র ভাড়া দিত শেখ রাজু। পরবর্তীতে অবৈধ বালিঘাট চালানো শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়ে যায় সে। ঝাঁ চকচকে বাড়ি তৈরি করে। এই অবৈধ বালি ব্যবসায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অসীম দাস। এছাড়াও অঞ্চল সভাপতির পদের দিকেও নজর ছিল ধৃতের। সেই কারণেই অসীম দাকে খুনের ছক কষে রাজু। পরিকল্পনামাফিক বেশ কয়েকজন সুপারি কিলারকে নিয়োগ করেছিল সে। নানুরের একটি ধাবায় বসে করা হয়েছিল খুনের প্ল্যান। সেই মতোই খুন করা হয় অসীম দাসকে। এবিষয়ে মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, “শেখ রাজুর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক ছিল না। অভিযুক্তের শাস্তি চাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.