সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে মেয়র বনাম চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। চেয়ারম্যানের অনুগামীরা মেয়রকে উঠতেই দিল না মঞ্চে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মেয়র দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানায়। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস, শুক্রবার দুর্গাপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্বাভাবিকভাবেই দুই দলীয় নেতার দ্বন্দ্বে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বও। তবে দ্রুত বিষয়টি মিটে যাবে বলে মনে করছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে দুর্গাপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ‘সুকান্ত মঞ্চ’-এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় এক মাসিক সাহিত্য পত্রিকা। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি। সময়মতন অনুষ্ঠানে চলেও যান মেয়র। অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলর ও দুর্গাপুর নগর নিগমের চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ পালের অনুগামীরা তাঁকে ‘সুকান্ত মঞ্চ’এ উঠতেই দেয়নি। চেয়ারম্যানের অনুগামীদের বাধায় শেষ পর্যন্ত রাস্তার ধারে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে সেখানেই ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান করতে বাধ্য হন মেয়র দিলীপ অগস্তি। এরপরই ক্ষুব্ধ মেয়র ফোনে গোটা ঘটনাটি তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও পর্যবেক্ষক কর্নেল দিপ্তাংশু চৌধুরিকে জানান। এমনকী ছবিও পাঠান তাঁদের কাছে।
ঘটনা সম্পর্কে মেয়র দিলীপ অগস্তি জানান, “বৃহস্পতিবার থেকেই আমাকে অপমান করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। মেয়রকে অপমান মানে নিগমের অপমান। আর নিগমকে অপমান করলেন নিগমেরই চেয়ারম্যান। সবার সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। এটা দলেরই বদনাম। আমি নেতৃত্বকে বিস্তারিত সব জানিয়েছি।” নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনে পালটা মেয়রের বিরুদ্ধেই তোপ দেগেছেন চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ পাল।
মৃগেন্দ্রনাথবাবু জানান, “উনি মিথ্যা বলছেন। আমাকেও ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমি বাইরে আছি। মেয়র মনে করেন, আমি তার প্রতিদ্বন্দ্বি। তাই মিথ্যা দোষারোপ করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি আহত হয়েছেন, তাই এখন আমাকে লক্ষ্য করছেন।” তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, “ওই মঞ্চটা (সুকান্ত মঞ্চ) মেয়র মনে করছেন তাঁর। কিন্তু ওই মঞ্চ এডিডিএর আর্থিক সাহায্যে তৈরি হয়েছে।” জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ‘সুকান্ত মঞ্চ’ তৈরি করে। দুই পক্ষের বাগ যুদ্ধে প্রবল অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলেও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান,“ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে দু’জনেরই। এটা মিটে যাবে।”
ছবি : উদয়ন গুহরায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.