প্রতীকী ছবি
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: নতুন অর্থবর্ষের শুরুতেই ৭৪৮ টি ওষুধের দাম এক ধাক্কায় বাড়িয়ে ছিল কেন্দ্র। ন্যাশানাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির যুক্তি ছিল পাইকারি বাজারে দামের সঙ্গে ভারসাম্যে বজায় রাখতে অত্যাবশ্যীয় ওষুধের দাম এক বারে ১.৭৪ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যার মধ্যে ক্যানসার থেকে হৃদরোগ, উচ্চরক্ত চাপ এমনকি শিশুদের বিভিন্ন রোগ রয়েছে। দাম বাড়ানো হয়েছিল স্টেন্টর। যুক্তি ছিল স্টেন্ট ও ওষুধের গোত্রে পড়ে। এই ইস্যুতে দেশজুড়ে বিতর্ক ও বিরোধিতার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
তবে ঠিক দু’সপ্তাহের মধ্যেই ১৩২ টি ওষুধের দাম কমাল রাজ্যে স্বাস্থ্যদপ্তর। যার মধ্যে ক্যানসার রোধের একাধিক ওষুধ রয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী বিভাগ থেকে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। একইসঙ্গে আরও ৯ টি ওষুধ স্বাস্থ্যসাথী গ্রুপের আওতায় আনা হল। একদিকে কেন্দ্র যখন লাগামছাড়া ভাবে ওষুধের দাম বাড়লো সেই সময়ে স্বাস্থ্য ভবনের এই দাম নিয়ন্ত্রণকে কে আম আদমির পক্ষে বড় পদক্ষেপ বলে অভিমত রাজ্যের বেশিরভাগ চিকিৎসক সংগঠনের।
স্বাস্থ্যভবনের কর্তাদের অভিমত, রোগীর পরিবারের উপরে বাড়তি ওষুধের বোঝা কমাতে সাহায্য করবে স্বাস্থ্যসাথী বিভাগের এই পদক্ষেপ। তবে সরকারি ডাক্তার সংগঠন দাবি করেছেন যেন এইসব ওষুধ হাসপতালে থাকে সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কে নিশ্চিত করতে হবে। কারন গ্রামের প্রান্তিক মানুষ সরকারি পরিষেবার ওপর ভরসা করে। তাই ডাক্তারবাবু প্রেসক্রিপশন করলেও হাসপতালের স্টোকে যেন ওষুধ থাকে। যেসব ওষুধের দাম কমানো হয়েছে তারমধ্যে এন্টিবায়টিক,,হৃদ রোগ, স্ট্রোক এবং নার্ভের ওষুধ, ডায়বেটিস, এন্টি এলার্জি, কৃমি এবং কয়েকটি জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.