নব্যেন্দু হাজরা: একে অমাবস্যার কোটাল। তার উপর আবার বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ভ্রূকূটি। সব মিলিয়ে শুক্রবার এবং শনিবার ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে কলকাতা (Kolkata)। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা থাকায় মৎস্যজীবীদের যেতে বারণ করা হয়েছে। এদিকে, বুধবার সকাল থেকে আকাশের মুখভার। আজও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার থেকে বাড়বে বৃষ্টির দাপট। এদিকে, বজ্রপাতে বাঁকুড়ায় প্রাণহানি হয়েছে তিনজনের।
সোমবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত বৃষ্টিতে (Rain) ভেজে। মঙ্গলবার রাতেও একই পরিস্থিতি। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে প্রচণ্ড গরমের হাত থেকে কিছুটা রেহাই মেলে আমজনতার। বুধবারও সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। দুপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৬ থেকে ৯০ শতাংশ।
দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য পেরিয়ে উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ দিকে। যেভাবে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় এবং দ্রুত এগোচ্ছে আবহাওয়াবিদদের অনুমান, আগামী ২-৩ দিনে দক্ষিণবঙ্গেও বর্ষা ঢুকবে। আগামী শুক্রবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নিম্নচাপ। এই নিম্নচাপের হাত ধরেই বঙ্গজুড়ে বর্ষামঙ্গল। শনি ও রবিবারের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বর্ষা ঢুকবে। রবিবারের মধ্যে বর্ষা ঢুকবে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের একাংশে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, সিকিম এমনকি ছত্তিশগড়ে নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, অরুণাচলপ্রদেশ, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ইতিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকদিনও চলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.