সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ ভেসে যাচ্ছে। এদিকে আষাঢ় মাস শেষ হতে চললেও এখনও বৃষ্টির জন্যে হাপিত্যেশ করেই বসে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ। অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে বিরাম নেই। এমন পরিস্থিতিতে খুব একটা আশার খবরই শোনাল না হাওয়া অফিস।
এখনই গুমোট পরিস্থিতি কাটবে না। হাওয়া অফিসের তরফে বলা হয়েছে, উত্তরের জন্য ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও আপাতত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে দক্ষিণবঙ্গবাসীকে। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নদীয়া ও মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। কলকাতাতেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে খবর। তবে দার্জিলিং, মালদহে ভারী বৃষ্টি চলবে আগামী চারদিন। এছাড়া সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গের উপর থেকে নিম্নচাপ সরে গিয়েছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে। ঝাড়খণ্ড, বিহার, পূর্ব উত্তরপ্রদেশে অবস্থান করবে নিম্নচাপ, তার ফলে সেখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও। এদিকে, মুম্বই ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে।
রবিবার রাত থেকে সিকিমের বেশ কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃষ্টি চলছে দাজিলিংয়েও। প্রবল বৃষ্টিতে ধস নামে। ধসে মৃত্যু হয় এক প্রৌঢ় দম্পতির। চলতি মরশুমে রেকর্ড দেরিতে বর্ষা এসেছে বাংলায়। যে নিম্নচাপের হাত ধরে মৌসুমি বাতাস বাংলায় ঢোকে, সেটি শক্তিশালী না-হওয়ায় প্রথম দফায় একেবারেই ভাল বৃষ্টি জোটেনি। নিম্নচাপ মধ্য ভারতে সরে যেতেই নিম্নচাপ অক্ষরেখা চলে যায় হিমালয়ের কোলে। এর ফলে জুনের শেষ সপ্তাহে ঢেলে বৃষ্টি হয়েছে তরাই, ডুয়ার্সে। বস্তুত, চলতি বছর শুরু থেকেই উত্তরের প্রতি সদয় বর্ষা। কিন্তু দক্ষিণের বরাতে এখনও পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি জোটেনি। হাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ের এপর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘাটতি রয়েছে ৪৫%। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে ঘাটতির পরিমাণ ৪২%। মহানগরের বৃষ্টির ঘাটতি পৌঁছেছে ৬৬%-এ। একইসঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.