শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হলেও নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না পরিযায়ী শ্রমিকদের। মিলছে না পর্যাপ্ত খাবারও। এহেন একাধিক অভিযোগ তুলে বুধবার গভীর রাতে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ির বানারহাটের কার্তিক ওড়াও হিন্দি কলেজের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। পাশাপাশি এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করায় সংক্রমণে আতঙ্কে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রাও।
জানা গিয়েছে, ভিনরাজ্য থেকে এলাকায় ফিরতেই বিক্ষোভরত ওই ১১৪ জন শ্রমিককে পাঠানো রাখা হয়েছিল ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। অভিযোগ, সেখানে একাধিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় তাঁদের। মেলেনি পর্যাপ্ত খাবার, এমনকী জলও। তবে কয়েকটা দিন পেরলেই ঘরে ফিরতে পারবেন একথা ভেবে মানিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ১০ থেকে ১২ দিন সেখানে কাটানোর পরও কারও নমুনা পরীক্ষা হয়নি। একাধিকবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেও কিছু লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের। এরপরই বুধবার গভীর রাতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আবাসিকরা। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্তাদের উপস্থিতিতে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের কথায়, নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট আসতেও সময় লাগবে। কিন্তু এখনও পরীক্ষাই হয়নি। তবে ঘরে ফিরব কবে? পরীক্ষা ছাড়া তো ঘরেও যেতে পারব না।
এবিষয়ে কথা বলা হলে স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, “লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতে এত দেরি হয় না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিএমওএইচের সঙ্গে কথা বলা হবে।” তবে শুধু কোয়ারেন্টাইনে ভরতি আবাসিকরাই নন, ওই এলাকায় সেন্টার করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রাও। সংক্রমণের আতঙ্কে রীতিমতো কাঁটা তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.