সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটে শোচনীয় ফলের জের। তারই ফলস্বরূপ তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন কর্মসূচি ‘দিদিকে বলো’। এখন সমস্যা হলেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাত্র একটি ফোন কল দূরে। সরকারের কাজে কোথায় ফাঁকফোকড় রয়ে গিয়েছে, কোথায় ঠিকঠাক পরিষেবা মিলছে না, জনগণের কাছ থেকে এসব খবর আদায় করতে আদাজল খেয়ে লেগে পড়েছে রাজ্য সরকার। আর তাই তাঁদের নতুন কর্মসূচি ‘দিদিকে বলো’ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘দিদিকে বলো’ পরিষেবাকে জনতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর স্বভাবতই দলের নেতা-কর্মীরা নেমে গিয়েছেন ময়দানে। যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে দলীয় কাজকর্মে। আর সেই কর্মপন্থায় পিছিয়ে রইলেন না তৃণমূলের নবনির্বাচিত তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও।
কর্মসূচির অংশ হিসাবে নিজের সংসদীয় এলাকা পরিদর্শনে যান যাদবপুরের সাংসদ মিমি। এলাকা পরিদর্শনের সঙ্গে সেখানকার মানুষদের কাছে গিয়ে তাঁদের নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। আর এর পাশাপাশি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারও সেরে নেন এদিন অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ। ঘটকপুকুরের নলমুড়ি হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন মিমি। তাঁদের কী কী সমস্যা রয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কোনওরকম অসুবিধে হলেই যেন ‘দিদিকে বলো’ পরিষেবায় উল্লেখ করা নম্বরে যোগাযোগ করেন, সেকথাও উল্লেখ করেছেন। এছাড়া, বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ঘটকপুর এলাকার বাসিন্দাদের হাতে হাতে ‘দিদিকে বলো’ কার্ড বিলি করেন। রাজ্যের অন্যান্য তৃণমূল নেতা-আমলাদের সঙ্গে জনসংযোগের নয়া কৌশল নিয়ে মিমিও যে দলীয় কাজকর্মে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন, তারই ঝলক মিলল এদিন। তবে রাজনৈতিক কাজকর্ম এবং দলীয় কর্মসূচির প্রচারের পাশাপাশি নজর কাড়ে এক অন্যরকম মুহূর্ত। নলমুড়ি হাসপাতালে এক সদ্যেজাতকে কোলে নেন সাংসদ। রোগীদের খাবারদাবার ঠিকঠাক পরিচ্ছন্নতা মেনে দেওয়া হচ্ছে কি না খোঁজ নেন, এসবের মাধ্যমেই রোগীদের মন কেড়ে নেন তৃণমূলের এই তরুণ তুর্কি।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল-সহ রাজ্যের ১৮টি আসনে জিতেছে বিজেপি। কিন্তু কেন এমন হল? উত্তর খুঁজতে এবার জনসংযোগ আরও নিবিড় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণা, আগামী ১০০ দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দশ হাজারেও বেশি গ্রামে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, এমনকী এলাকায় দলের কর্মীদের অভাব-অভিযোগ শুনবেন তাঁরা। প্রয়োজনে বুথকর্মীদের খাওয়া-দাওয়া ও গ্রামেই কারও বাড়িতে রাত্রিবাসও করবেন শাসকদলের প্রতিনিধিরা। তবে নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানানোর জন্য সাধারণ মানুষকে যে স্রেফ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে, তা কিন্তু নয়। চাইলে যে কেউ ফোন নম্বর কিংবা ওয়েবসাইট মারফত খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন। আর এই কর্মসূচিরই নাম দেওয়া হয়েছে ‘দিদিকে বলো’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.