স্টাফ রিপোর্টার: বারুইপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে রাতে শিশু চিকিৎসক থাকেন না শুনে বিস্মিত যাদবপুরের সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। রাতে রোগীদের ডাক্তারের অভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও কর্মীদের একাংশই অভিযোগ করেন। এরপর সাংসদ বলেন, “হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টাই যাতে শিশু চিকিৎসক থাকে তা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে হবে। ডাক্তারদের সংখ্যা বাড়ানোই জরুরি।”
দলীয় সভায় যোগ দিয়ে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকা বারুইপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পরিদর্শনে যান মিমি। রোগী পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ শুনলেন তিনি। প্রথমেই সাংসদ হাসপাতালে ঢুকে জরুরি বিভাগের ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। মহিলা বিভাগে গিয়ে আলাদা করে রোগীদের সঙ্গে একান্তে সমস্যার কথা শোনেন। সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগে মাত্র ২ জন চিকিৎসক শুনে হতবাক হয়ে যান সাংসদ। তিন দিন আগে এই হাসপাতালে যাঁর মেরুদণ্ডে জটিল ও সফল অপারেশান হয়েছে সেই কুলতলির রবিউল লস্করকেও দেখতে যান সাংসদ।
যাদবপুর বিধানসভার পাটুলিতে বৃহস্পতিবার নতুন জলাধার তৈরি করিয়ে জলপ্রকল্পের সূচনা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানিয়ে দিলেন, “আগামী এক বছরের মধ্যে গড়িয়া ঢালাই ব্রিজের কাছে আরও একটি ৪০ লক্ষ গ্যালন জলপ্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্প থেকেই আরও ১০ লক্ষ গ্যালন পরিস্রুত জল যাদবপুর ও টালিগঞ্জের বিভিন্ন পল্লিতে পৌছে যাবে। বছর দু’য়েকের মধ্যে গোটা এলাকায় প্রতিটি পরিবারের জলের চাহিদা পূরণ করবে পুরসভা।” আপাতত দূষণ প্রতিরোধের পাশাপাশি পরিস্রুত পানীয় জল প্রতিটি ঘরে পৌছে দেওয়া এবং জমা জল নিকাশির মাধ্যমে দ্রুত অপসারণ করাই কলকাতা পুরসভার প্রথম ও প্রধান টার্গেট বলে মেয়র স্পষ্ট জানান। এদিন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে নিয়ে পাটুলিতে ১০ লক্ষ গ্যালন ভূগর্ভস্থ জলাধার ও ৭ লক্ষ গ্যালন জলের ট্যাঙ্ক উদ্বোধন করেন মেয়র। ছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও। উদ্বোধন হওয়া জলপ্রকল্পের জেরে যাদবপুরের ৯৯, ১০০, ১০১, ১১০ নম্বর ওয়ার্ড মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.