প্রতীকী ছবি
সৈকত মাইতি, তমলুক: বাড়ির বড় মেয়ের প্রেমে পড়েছিল এক যুবক। লাগাতার উত্যক্ত করত। শেষ পর্যন্ত মেয়েকে মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে বাধ্য হয়েছিলেন বাবা। কিন্তু তার খেসারত যে এভাবে দিতে হবে, তা হয়তো তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি! অভিযোগ, ফাঁকা থাকার সুযোগে বাড়িতে ঢুকে তাঁর ছোট মেয়েকে ‘ধর্ষণ’ করল সেই যুবক। এমনকী, নাবালিকার মলদ্বারে কাঁটা চামচ ঢুকিয়ে দেওয়ার মতোও ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোলাঘাটে। ইতিমধ্যে নিউটাউন থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কয়েকদিন আগে কোলাঘাট থানার রাইনে হোসিয়ারি শ্রমিক ছোট মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক যুবক শেখ মমতাজ। ওই শ্রমিকের বড় মেয়ে, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের দাবি, তাকে লাগাতার উত্যক্ত করত মমতাজ। বড় মেয়েকে বাঁচাতে মামার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন হোসিয়ারি শ্রমিক। এদিকে বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে ঢুকে পড়ে মমতাজ। শ্রমিকের ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে শারীরিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ। ছুরি দেখিয়ে তার উপর যৌন নির্যাতন করা হয়। এমনকী, তার মলদ্বারে কাঁটা চামচ ঢুকিয়ে দেয়। বর্তমানে সে তমলুকের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের কোলাঘাটের ব্লক শাখার পক্ষ থেকে কোলাঘাটের বিট হাউসে ডেপুটেশন ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সংগঠনের পক্ষে প্রতিমা অধিকারী, মায়া খামরই, সুতপা সিনহা,মিঠু দত্ত,রীতা সিনহা প্রমুখ। বিট হাউসের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান,পার্শ্ববর্তী হরিহরপুরের শেখ মমতাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিউটাউনে লুকিয়ে ছিল সে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.