ধীমান রায়, কাটোয়া: জোর করে কিশোরীর বিয়ের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়ে মুক্তি দেয় পাত্র ও পাত্রীপক্ষকে। নাবালিকা বিবাহ আইনবিরুদ্ধ৷ তা সত্বেও কেন গ্রেপ্তার করা হল না অভিযুক্তদের, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও এখনই বিয়েতে মত ছিল না ওই কিশোরীর।
বর্তমানে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ওই কিশোরী। বছর দুয়েক আগে এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই কিশোরী। কিন্তু এখনই বিয়ে করতে রাজি ছিল না সে। কারণ, বরাবরই তার ইচ্ছে ছিল লেখাপড়া করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই বিয়ের জন্য কিশোরীকে চাপ দিচ্ছিল তার প্রেমিক। অভিযোগ, পরে শুক্রবার সন্ধেয় হঠাৎই ওই কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তার প্রেমিক-সহ বেশ কিছু লোকজন।
সেখানে জোর করে তার বিয়ের তোড়জোড় শুরু করা হয়। আটকে রেখে কার্যত জোর করে বরণডালা থেকে সিঁদুর পড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় কিশোরীকে। এরপর পড়ানো হয় শাঁখা। আর নাবালিকা বিবাহের মতো বেআইনি এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভূমিকায় দেখা যায় দাঁইহাট পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীকে। আর মুহূর্তের মধ্যে গোটা ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল সাইটে। ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় থানায় খবর দেন এলাকারই একজন।
এরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে নাবালিকার সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। তবে জোর করে বিয়ে দেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী। তাঁর কথায়, দীর্ঘদিন ধরেই ওই যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার। দুই পরিবারের ইচ্ছেতেই বিয়ের আয়োজনও করা হয়েছিল। কোনওরকম জোর জবরদস্তি করা হয়নি। এরপরই দুই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানে ১৮ না পেরলে কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া হবে না, এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পায় দু’পক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.