পলাশ পাত্র, তেহট্ট: অপসংস্কৃতি আমাদের মধ্যে মজ্জায় মজ্জায় কতটা প্রবেশ করেছে তার জলজ্যান্ত প্রমাণ কয়েকদিন আগেই পাওয়া গিয়েছিল কলকাতায়। যখন সেন্ট পলস কলেজের এক ছাত্রকে নগ্ন করে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্তদের পাকড়াও করেছে পুলিশ, শাস্তিও হয়েছে। তবে, এই ঘটনা যে কোনও প্রভাব ফেলেনি তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া গেল নদিয়ার তেহট্টে। একই কায়দায় সেখানেও এক কৃষককে নগ্ন করে, ছবি তুলে, সেই ছবি ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তিন নাবালক ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাদের পেশ করা হবে আদালতে।
[প্রস্তুতি সম্পন্ন, খাদ্যরসিকদের স্বস্তি দিয়ে শুরু ইলিশ অভিযান]
ঘটনাটি তেহট্টের নাকাশীপাড়ার চিচুড়িয়া গ্রামের। সেখানেই থাকেন বছর চৌত্রিশের দীনু শেখ নামের ওই শ্রমিক। স্বভাবে অত্যন্ত সাদাসিধে, সরল প্রকৃতির দীনু কয়েকদিন ধরেই কর্মহীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে, পাশের গ্রামের একটি জমি থেকে ঘাস কেটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি৷ জানা গিয়েছে, মাঝ রাস্তা থেকে তাঁকে একটি আম বাগানে ডেকে নিয়ে যায় দেবরাজ হালদার, একতার শেখ ও দেবাশিস সর্দার নামে তিন নাবালক৷ এরা সকলেই চোদ্দ থেকে পনেরো বছর বয়সের এবং নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্র৷ অভিযোগ, আমবাগানে ডেকে নিয়ে গিয়ে দীনু শেখের জামা ও লুঙ্গি খুলে নেয় তারা৷ সম্পূর্ণ নগ্ন করে শ্রমিকের ছবি তোলে৷ এরপর সেই ছবি ছড়িয়ে দেয় ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে৷ মুহূর্তের মধ্যে সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়৷ পরে, সেই ছবি নিয়ে অন্যান্যরা মজা করতে থাকে৷
[এবার ট্যাক্সির ‘বেয়াদপি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপে]
সমস্ত ঘটনাটি নিজের স্ত্রীকে জানায় দীনু শেখ৷ সঙ্গে সঙ্গে নাকাশীপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী৷ অভিযোগের ভিত্তিতেই, বৃহস্পতিবার ওই তিন নাবালক-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ ধৃত ব্যক্তির নাম রফিক মণ্ডল ওরফে চাঁদু৷ সূত্রের খবর, যে দোকান থেকে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছিল সেই দোকানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ধৃত ওই ব্যক্তি৷ শুক্রবার তিন অভিযুক্ত নাবালককে তোলা হবে জুভেনাইল আদালতে এবং অন্য এক ব্যক্তিকে ফৌজদারি আদালতে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.