প্রতীকী ছবি
বাবুল হক, মালদহ: গোয়ালপোখরের পর কালিয়াচক। ফের রাজ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি। ফেনসিডিল পাচারকারীরা উর্দিধারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তবে বরাতজোরে রক্ষা পান পুলিশকর্মীরা। এই ঘটনায় দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক বাকি ১০ দুষ্কৃতী।
গোপন সূত্রে কালিয়াচক থানার পুলিশ খবর পায়, মালদহের মহদিপুর সীমন্তের সাইলাপুর সীমান্তে বেআইনি কাফ সিরাপ পাচার করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী বিশাল পুলিশবাহিনী ওই সীমান্ত এলাকায় হানা দেয়। পাচারকারীদের আত্মসমর্পণ করতে বলে পুলিশ। সে কথা শুনে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। পালটা পুলিশও প্রাণরক্ষায় গুলি চালায়। যদিও বরাতজোরে রক্ষা পায় পুলিশ। এই ঘটনায় মিঠুন শেখ ও মধু মণ্ডল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও ফেরার দশজন। তাদের কাছ থেকে সেভেন এম এম পিস্তল, ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি এবং প্রচুর পরিমাণ বেআইনি কাফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি গোয়ালপোখরে আক্রান্ত হয় পুলিশ। ওইদিন ইসলামপুর আদালতে শুনানিতে হাজির করা হয় বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলমকে। শুনানি শেষে প্রিজন ভ্যানে করে রায়গঞ্জ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাকে। গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ার একরচালা কালীমন্দিরের কাছে শৌচকর্ম করবে বলে জানায়। প্রিজন ভ্যান থেকে নামে। অভিযোগ, প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে দুই পুলিশকর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এরপর একটি বাইকে চড়ে চম্পট দেয়। রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সাজ্জাকের ২ লক্ষ টাকা মাথার দাম ধার্য করে। জখম দুই পুলিশকর্মীকে দেখতে যান খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাজ্জাককে গ্রেপ্তার করতে হবে বলেই নির্দেশ দেন। পুলিশের উপর গুলি চালালে পালটা তার ৪ গুণ গুলি চালানো হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডিজি। তার দুদিন পর পুলিশের এনকাউন্টারে খতম হয় সাজ্জাক। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কালিয়াচকে ফের দুষ্কৃতীদের টার্গেটে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.