ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শুভেন্দু অধিকারী, জিতেন্দ্র তিওয়ারির পর দল ছাড়লেন আরেক বিধায়ক। বারাকপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত (Silbhadra Dutta) শুক্রবার সকালে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। জোর জল্পনা, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহর মঞ্চে তিনিও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
শীলভদ্র দত্তের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক যে ক্রমশই অবনতির পথে এগোচ্ছে, তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই। কখনও তাঁর নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা, কখনও ফেসবুক পোস্টের ইঙ্গিতে বিভাজন স্পষ্ট হচ্ছিল। শুভেন্দু অধিকারীর মন্ত্রিত্ব ত্যাগের পর সরাসরি তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে জল্পনা আরও উসকে দিয়েছিলেন বারাকপুরের (Barrackpore) দু’ বারের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। ওয়াকিবহাল মহল টের পাচ্ছিলেন, এবার শীলভদ্রও দল ছাড়বেন। শেষমেশ সেই জল্পনা সত্যি করে শুক্রবার সকালেই তিনি ইস্তফাপত্র পাঠালেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। দলের সদস্যপদ ছাড়লেন তিনি। তবে কি শুভেন্দুর সঙ্গে একই মঞ্চে বিজেপিতে যোগদান করবেন তিনি? এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার গুঞ্জন।
সূত্রের খবর, প্রথমদিকে বিজেপি-তে যাওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ এই নেতা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে একদিন মুকুল রায়ের বাড়ি গিয়ে দেখাসাক্ষাৎ এবং তা অস্বীকারের পর শীলভদ্রের সিদ্ধান্ত কী হতে চলেছে, সেই ধোঁয়াশা কাটতে থাকে। জানা গিয়েছে, একবার অপারেশনের সময়ে দলের সহকর্মীদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন বারাকপুরের বিধায়ক। বৃহস্পতিবার থেকে নাকি সেই টাকা ফেরাতে শুরু করেন। বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিককে টাকা ফেরানোর কথা জানান তিনি। তখনই সকলে টের পেয়েছিলেন, এবার তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের পথে হাঁটছেন এই বিধায়কও।
অন্যদিকে, হুগলির তৃণমূল নেতা তথা উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার প্রশাসক দিলীপ যাদবের বাড়ি যান বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এবং যুব মোর্চা নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। ফলে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে, এবার দিলীপ যাদবও কি বিজেপিতে যোগ দেবেন? তৃণমূল নেতা, বিধায়কদের দলত্য়াগ নিয়ে আবার তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর টুইট, “যে হারে তৃণমূল বিধায়করা ইস্তফা দিচ্ছেন তাতে পিসি তাঁর অফিসে একটি ইস্তফা গ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করতে পারেন।”
The rate at which TMC MLAs are resigning, Pishi must perhaps consider setting up a resignation collection center in her office…
— Amit Malviya (@amitmalviya) December 18, 2020
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.