ছবি: প্রতীকী
সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে পিটিয়ে খুন করল নির্যাতিতার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। এই ঘটনায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার রায়দিঘির সুভাষনগর এলাকায়। পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার দুপুর একটা নাগাদ রায়দিঘির সুভাষনগরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বাসিন্দা শুকরি ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নির্যাতিতার আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীরা অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন। অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে চলে গণধোলাই। দীর্ঘক্ষণ ধরে অভিযুক্তের উপর নির্মম অত্যাচার চলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনার খবর জানামাত্রই রায়দিঘি থানার পুলিশের এক বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশ দেখে নির্যাতিতার আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের অনেকেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান। অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় অভিযুক্তকে উদ্ধার করে রায়দিঘি হাসপাতালে ভরতি করে পুলিশ। রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তের।
সুন্দরবন জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানিয়েছেন, নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে আগে ধর্ষণের কোনও অভিযোগই দায়ের করেননি। অভিযুক্তকে শাস্তি দিতে নিজেরাই আইন হাতে তুলে নেন। এই ঘটনায় পকসো আইনে একটি ধর্ষণের মামলা এবং অভিযুক্তকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে একটি খুনের মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। অভিযুক্ত ধর্ষণকারীকে গণহত্যার অভিযোগে এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে এফআইআরে নাম থাকা বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। গোটা গ্রাম পুলিশের ভয়ে এখন কার্যত পুরুষশূন্য। এদিকে, নির্যাতিতা নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.