বিক্রম রায়, কোচবিহার: গরু চোর সন্দেহে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকদের মারধরের ঘটনায় রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ এলাকা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে গাড়িতে গরু নিয়ে যেতে দেখে ওই যুবকদের পথ আটকায় স্থানীয়রা। অভিযোগ, এরপরই তাঁদের বেধড়ক মারধর শুরু করেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ। তাঁদেরও আক্রমণ মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর চলে পুলিশের ৩ টি গাড়িতে। এই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে সংবাদ মাধ্যমও। ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে ইতিমধ্যেই ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই একের পর এক গরু চুরির ঘটনা ঘটছিল কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ধলপল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই নিয়ে একাধিকবার পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করে স্থানীয়রা। কিন্তু তাতেও কমেনি চুরির ঘটনা। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে ৪ টি গাড়িতে করে কয়েকজন যুবককে গরু নিয়ে যেতে দেখেন স্থানীয়রা। সেই সময় চোর সন্দেহে ওই যুবকদের উপর চড়াও হন স্থানীয়রা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। খবর পেয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ বাহিনী। সেখানে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তুফানগঞ্জ থানার আধিকারিকরাও। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত হন তুফানগঞ্জ থানার ওসি সৌমাল্য আইচ ও সার্কেল ইন্সপেক্টর দেবাশিস বসু-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। সেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন সাংবাদিকেরাও।
[আরও পড়ুন: পিঠ চাপড়েছেন প্রধানমন্ত্রী, পুরুলিয়ার ভোট ময়দানে ‘সেলেব্রিটি’ প্রার্থী জ্যোতির্ময়]
ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকে এলাকা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ। কোনওক্রমে স্থানীয়দের রোষের মুখ থেকে আক্রান্ত যুবকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করে পুলিশ। সূত্রের খবর, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চোর সন্দেহে আক্রান্ত যুবকেরা জানিয়েছেন, “আমরা গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত নই। গরু কিনে কোচবিহারের সীমান্তবর্তী এলাকায় যাচ্ছিলাম।” তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.