শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: স্বামী ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। কাছে থাকেন না। সেই সুযোগে পাড়ায় কাজ করতে আসা এক শ্রমিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক (Extra marital affair) গড়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) করণদিঘির গৃহবধূর। তাঁর ৭ বছরের সন্তান আছে। ছেলেকে নিয়ে একলা সংসারে এই সম্পর্ককে জড়িয়েই বোধহয় দিন কাটাতে চেয়েছিল। আর তাতে কোনওরকম কাঁটাই সহ্য করবে না। এমনকী প্রয়োজনে সন্তানকে খুন করতেও পিছপা হয়নি মা। প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে ঠিক সেই কাণ্ডটাই ঘটাল করণদিঘির মেলার মোড় এলাকার বাসিন্দা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। মা এবং প্রেমিক – দু’জনকেই গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল এলাকায়।
রায়গঞ্জ পুলিশ সূ্ত্রে খবর, বৃহস্পতিবার মেলার মোড় এলাকার একটি ইটভাঁটা থেকে এক শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপরই ফাঁস হয় আসল রহস্য। জানা যায়, শিশুটির নাম গোলাম সরোবর। বয়স ৭ বছর। সে মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ছিল। এরপর বৃহস্পতিবার ইটভাঁটা থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। পুলিশের অনুমান, মঙ্গলবারই তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর দেহ লোপাট করা হয় ইটভাঁটায়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শিশুর মা শেলি খাতুন। তার সঙ্গে মহম্মদ মিকাইল নামে এক শ্রমিকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাদের সম্পর্কের মাঝে ‘কাঁটা’ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল ছেলে গোলাম। বিরক্ত হয়ে প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ছেলেকে খুন করে দেহ লোপাট করে শেলি। শনিবার সকালে তদন্তে নেমে তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশ। মা শেলি খাতুন পলাতক ছিলেন। পরে তার হদিশ পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়গঞ্জের (Raigunj) পুলিশ সুপার সানা আখতার জানিয়েছেন, ”মৃত শিশুর মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মহিলার প্রেমিক মহম্মদ মিকাইলও। তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই বাচ্চাকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.