অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: জামাইকে পেরেক দিয়ে অত্যাচারের পর খুন করে দেহ কাঁঠালগাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের মুরারিপুর বণিকপাড়ায়। মৃত যুবকের নাম শরিফুল ইসলাম (৩৪)। বাড়ি ডোমকলের উত্তর গরিবপুরে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে শরিফুলের বিয়ে হয় মুরারিপুরের (Muraripur Murshidabad) মৌসুমী খাতুনের সঙ্গে। তাঁদের ১১ মাসের এক কন্যাসন্তানও আছে। প্রথম দিকে সব ঠিকই ছিল। বছরখানেক গড়াতেই স্ত্রী ও শাশুড়ির সন্দেহ জাগে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন শরিফুল। তা নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। দিন কয়েক আগে মৌসুমীর মা শরিফুলের বাড়িতে আসেন। সালিশি সভা বসে গ্রামে।
মৃতের ভাইপো মহবুল হক বলেন, “সালিশি সভাতে কাকিমাকে তাঁর বাপের বাড়িতে পাঠানোর বিষয়টি স্থির হয়। পরে অশান্তির মীমাংসা করে বাড়িতে নিয়ে আসা হবে বলেই ঠিক ছিল। সেই মতো কাকিমা চলেও যান। বুধবার রাতে কাকাকে ফোন করে কাকিমাদের বাড়িতে ডাকা হয়। রাতে কী হয়েছে জানি না। বৃহস্পতিবার সকালে কাকার মৃত্যুর খবর পাই।” তিনি আরও বলেন, “মৃতদেহের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের ধারণা কাকাকে পেরেক দিয়ে অত্যাচারের পর খুন করে দেহ গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
শরিফুলের পরিবারের অভিযোগ পারিবারিক অশান্তির জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। মৃতের দাদা রফিকুল ইসলাম বলেন, “বুধবার রাত আটটা পর্যন্তও ভাই বাড়িতেই ছিল। এর পরই বিয়ের ঘটক রঞ্জু শেখকে দিয়ে ফোন করিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালের খবর পাই ভাইয়ের দেহ শ্বশুরবাড়ির পাশের কাঁঠাল গাছে ঝুলছে। ওঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.