ছবি: প্রতীকী।
শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: একেই বলে রাতারাতি ভাগ্যবদল। ছোট দোকানের আয়ে টিমটিম করে জ্বলছিল সংসারের প্রদীপ। নুন আনতে ফুরিয়ে যেত পান্তা। আজ সেই দোকানিই হলেন কোটিপতি। লটারি (Lottery) কেটে কোটি টাকা জিতে নিলেন জঙ্গিপুরের এক প্রৌঢ়। না কোনও সিনেমার গল্প নয়, এমনটাই ঘটেছে বাস্তবে।
জঙ্গিপুরের বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি পানের গুমটি চালান সামিউল শেখ। নুন আনতে পান্তা ফুরনোর সংসার তাঁর। বাড়িতে তাঁর তিন মেয়ে। বাড়ির অবস্থাও তথৈবচ। ভেঙে পড়ছে ছাদ। খসে পড়েছে পলেস্তারা। পানের গুমটি থেকে যা রোজগার হত, তা দিয়েই চলত সংসার। কিন্তু উন্নতির স্বপ্ন কে না দেখে! তাই মাঝেমধ্যে লটারির টিকিট কিনে ফেলতেন বছর ৪৬-এর সামিউল। এবারও সেই অভ্যেস মতোই সাড়ে চারশো টাকা খরচ করে কেটেছিলেন লটারির টিকিট। তাতেই রাতারাতি ভাগ্যবদল তাঁর।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে জঙ্গিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটা লটারির দোকান থেকে টিকিট কাটেন ওই পানের দোকানদার। রাতেই ছিল লটারির ফলপ্রকাশ। রাতেই তিনি ফল জানতে পারেন। টিকিটের টাকা মিলতেই হইচই শুরু হয়ে যায়। আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান রঘুনাথগঞ্জের জঙ্গিপুরের মির্জাপাড়ার বাসিন্দা। খবর জানাজানি হতেই সামিউলের বাড়িতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। বিষয়টি জানানো হয় থানাকে। যদিও কোটিপতি হয়েও তিনি পানের দোকান চালাতে চান বলেই জানিয়েছেন সামিউল। আগামিদিনে পরিবারের হাল ফেরানোর পাশাপাশি বড় ব্যবসা করার কথাও ভাবছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সামিউলের কথায়, “লটারির টাকা দিয়ে বাড়িটা মেরামত করব। তিন মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থাও করব। তার পর বাকি টাকা দিয়ে ব্যবসাটা বাড়ানোর কথা ভাবব।” এর আগেও বর্ধমান, মুর্শিদাবাদেও লটারি পেয়ে রাতারাতি ভাগ্যবদল হয়েছিল একাধিক ব্যক্তির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.