অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: কয়েকদিন আগেই নয়া ওয়াকফ আইন নিয়ে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদ। দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণহানিও ঘটেছিল। সাময়িকভাবে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা মুর্শিদাবাদ আপাতত শান্ত। তবে ফের কি সেখানে অশান্তির ষড়যন্ত্র? এই প্রশ্ন তুলে দিল শুক্রবার জলঙ্গির সাহেবপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, ৪টি অত্যাধুনিক চিনা পিস্তল, ৮ রাউন্ড ম্যাগাজিন এবং ৩০ রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম জয়প্রকাশ মণ্ডল এবং সুরজ মণ্ডল। দু’জনেই মালদহ জেলার বাসিন্দা। একজনের বাড়ি বৈষ্ণবনগরের দেওনাপুকুর এলাকায় এবং অপরজন ঠাকুরদাস মণ্ডলপাড়ায় থাকে।
গোপন সূত্রে গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, একটি যাত্রীবাহী বাসে অভিযুক্ত দু’জন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জলঙ্গিতে আসছে। সেইমতো ওই বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদ পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও জলঙ্গি থানার পুলিশ আধিকারিকরা। বাসটি ওই এলাকায় পৌঁছতেই তল্লাশি চালানো হয় বাসে । এরপর বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অভিযুক্তদের হাতেনাতে পাকড়াও করে পুলিশ।শুক্রবার বিকালে এনিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজ। সেখানেই তিনি জানান, এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি কী কারণে আনা হচ্ছিল জানতে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাংলাদেশে পাচারের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রগুলি আনা হচ্ছিল। সেই ছক বানচাল করা হয়েছে।
এসডিপিও আরও বলেন, “ধৃতদের শনিবার আদালতে তোলা হবে। আদালতের কাছে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের জন্য আবেদন জানানো হবে।” তবে কোথা থেকে অভিযুক্তরা এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পেল? এর পিছনে আরও বড় কোনও মাথা রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে জানতে তদন্ত চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.